নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ করেছেন, উজাড় করে দিয়েছেন নিজের সবটুকু। তবু যথাযোগ্য সম্মান পাননি কখনোই, ভারতকে বড় কোন শিরোপা জেতানো তো দূরে থাক নিজেই ঠিকঠাক খেলার সুযোগ পাননি। ক্যারিয়ার জুড়ে জমানো ক্ষোভ অবশ্য কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়েছে আম্বাতি রাইডুর, কেননা তাঁর হাত ধরেই ভারত জিতেছে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডের শিরোপা।
ফাইনালের মহারণের দিন ৩০ বলে ৫০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার। তাঁর ১৬৭ স্ট্রাইক রেটের ব্যাটিংয়ে ভর করেই ছয় উইকেটের জয় পেয়েছে যুবরাজ সিং, হরভজন সিংদের ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্সের ছুঁড়ে দেয়া ১৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন এই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী রবিন উথাপ্পা দশ রান করে থামলেও তাঁর আগ্রাসন থামেনি একটুও। পাওয়ার প্লেতে ১৫ বল খেলে তিনি করেছিলেন ২৫ রান।
পাওয়ার প্লে শেষেও অবশ্য রান তোলার গতি কমাননি ডানহাতি রাইডু। নিয়মিত বাউন্ডারির মারে মাত্র ২৯ বলেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। যদিও পরের বলেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে তাঁকে, তবে দলকে জয়ের ভিত ততক্ষণে গড়ে দিয়েছেন। তাঁর গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এরপর ইউসুফ পাঠান পূর্ণ করেছেন বাকি আনুষ্ঠানিকতা।
সাঈদ আজমলের ইকোনমিক্যাল বোলিংয়ের সুবাদে যখন ম্যাচ জমে উঠেছিল তখনি চিরচেনা রূপে হাজির হন এই হার্ডহিটার। এক চারের বিপরীতে তিন তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের সমীকরণকে পুরোপুরি সহজ করে তবেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
এমন লেজেন্ড লিগ স্রেফ ক্রিকেটীয় দ্বৈরথে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি কিংবদন্তিদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে৷ আম্বাতি রায়ডুদের মত এখানে কেউ পুরনো অতৃপ্তি মেটান কেউ আবার পুরনো বন্ধুর সাথে এক দু’দণ্ড গল্প করেন – আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মত করে তাই লিজেন্ড ক্রিকেট চলতে থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা।