বৃষ্টির জন্য পৌনে তিন দিন নেই। হ্যাঁ, সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে কানপুরের অব্যবস্থাপনাকেও। রোহিত শর্মার দল চাইলে কানপুরের এই সংকটকেই কাঠগড়ায় তুলতে পারত।
কিন্তু, এই ভারত তো অনন্য। তাঁরা কখনওই অজুহাত দাঁড় করাতে কোনো মুহূর্তেই রাজি নয়, বরং যেকোনো পরিস্থিতিতে, যে কোনো সময়, যে কোনো কন্ডিশনে – শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জয়ের জন্যই খেলে।
সেই লক্ষ্যেই এই ভারত তিন ওভারেই ৫১ রান করতে জানে, কিংবা পারে। মাত্র ১০.১ ওভারেই ১০৩ রান তুলতে পারে। প্রয়োজন পড়লে টেস্টে দ্রুততম সময়ে ৫০ রান কিংবা ১০০ রান তুলে ফেলতে পারে এই ভারত।
এখানেই শেষ নয়, দ্রুততম সময়ে ১৫০, ২০০ কিংবা ২৫০ ০- কানপুর বীরত্বের সুবাদে এই সব রেকর্ডই এখন ভারতের দখলে। সুযোগ থাকলে দ্রুততম ৩০০’ও করে ফেলতে পারত ভারত। কিন্তু, সেই সুযোগ দলকে দেননি রোহিত। এখানেই সেই একই কথা – এই ভারত রেকর্ডের জন্য নয় – খেলে কেবলই জয়ের জন্য।
এটাই ভারত। এই মানসিকতা ভারতের গড়ে দেওয়ার সূচনা করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি চলে যাওয়ার পর ভয়ডরহীন মানসিকতার বিকাশ ঘটেছে। আর এরপর সেই মানসিকতা অন্য এক চূড়ায় নিয়ে গিয়েছেন বিরাট কোহলি কিংবা রোহিত শর্মারা।
আর এই সেট আপেই তো এখন যুক্ত হয়েছেন খোদ গৌতম গম্ভীর। তিনি একালের ক্রিকেট মাস্টারমাইন্ড। তিনি জানেন, আশা যখন শেষ হয়ে যায় – তখন কিভাবে সেখান থেকেই মণি-মুক্তা বের করে আনতে হয়।
চতুর্থ দিনে ভারত ৩৪.৪ ওভার ব্যাটিং করেছে। সেখানে ভারত রান তোলে ২৮৫। মানে ওভার প্রতি প্রায় সাড়ে আট করে রান তুলেছে ভারত। নয়টা উইকেট গেছে বটে, তবে সেটার অধিকাংশই আক্রমণ করতে গিয়ে।
আর কানপুরে এখন টেস্টের যে হাল – তাতে ভারতের পাল্লাটাই বেশি ভারি। বাজবলও কি এতটা ভয়ানক? সম্ভবত নয়। বাজবল নয়, সময় এখন ভারতের – সেটাকে আপনি চাইলে যেকোনো নামেই ডাকতে পারেন – রোহিত গম্ভীরদের তাতে কিছুই যায় আসে না।