ভারত এখন বিশ্বমানের পেসারদের আঁতুরঘর। এখনকার ভারতীয় পেসাররা প্রতিপক্ষে চোখ রাঙিয়ে কথা বলেন, সফল হন। এখনকার ভারতীয় পেস বোলিং ইউনিট বিশ্বমানের। তবে, আলোর নিচেই আছে অন্ধকার। অনেক সম্ভাবনা দেখিয়েও অনেকে হারিয়ে গেছেন। অমিত প্রতিভা নিয়ে এসেছিলেন বেশ কয়েকজন, কিন্তু – ফুল হয়ে ফোটার আগেই হারিয় গেছেন। ২৮ বছর পর্যন্ত নিজেদের ক্যারিয়ার টেনে নিয়ে যেতে পারেননি।
- ইরফান পাঠান
ইরফান পাঠানের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গনে হইচই পড়ে গিয়েছিল। ব্যানানা সুইংয়ে তিনি ব্যাটারদের রীতিমতো নাকানিচুবানি খাওয়াতে জানতেন। তাছাড়া ব্যাটিংটাও টুকটাক জানা ছিল তাঁর। কিন্তু প্রচন্ড সম্ভাবনাময়ী এই পেসার ২৯ ম্যাচে শততম টেস্ট উইকেট পেয়েই থেমে গিয়েছিলেন। ২৩ বছর বয়সেই হারিয়ে গিয়েছিলেন ইরফান, সম্ভবত ভারতের অন্যতম বড় আক্ষেপ হয়ে আছে সেটা।
- আশিষ নেহারা
সাদা বলে ভারতের অন্যতম সেরা পেসার ছিলেন আশিষ নেহারা। কিন্তু ইনজুরির কারণে লাল বলে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তাঁর, সবমিলিয়ে সতেরো ম্যাচ খেলেই শেষ হয়েছিল টেস্ট ক্যারিয়ার। আর সংক্ষিপ্ত এ ক্যারিয়ারে তিনি ৪২ গড়ে পেয়েছেন ৪৪ উইকেট – যদিও ২০০৯ সালে প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারতো এই তারকার, কিন্তু নিজেই বুঝতে পেরেছিলেন ফিটনেস আশানুরূপ না তাঁর।
- মুনাফ প্যাটেল
এক্সপ্রেস গতিতে ব্যাটারদের গুঁড়িয়ে দেয়ার সামর্থ্য দেখিয়ে ক্যারিয়ারের শুরুতেই খ্যাতি পেয়ে গিয়েছিলেন মুনাফ প্যাটেল। ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় তাঁর টেস্ট জীবন, কিন্তু অল্প দিন পরেই গুরুতর চোট তাঁর বলের গতি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। ফলে নখদন্তহীন হয়ে যান তিনি। শেষপর্যন্ত ১৩ টেস্ট খেলেই লাল বলকে বিদায় জানাতে বাধ্য হন মুনাফ, সেসময় তাঁর ঝুলিতে ছিল ৩৫ উইকেট।
- প্রবীণ কুমার
প্রবীণ কুমার যাই বলতেন, চামড়ার বলটা তাই শুনতো। বলে খুব একটা গতি না থাকলেও তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করতে পেরেছিলেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এসে টিকতে পারেনি, অথচ ছয় ম্যাচে ২৭ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। যেকোনো বিচারে সেটা প্রশংসনীয়, কিন্তু চোট তাঁকে সুযোগ দেয়নি বড় কিছু করার।
- আরপি সিং
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গতির ঝড় তুলে পেস সেনসেশন খ্যাতি পেয়েছিলেন আরপি সিং। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সেই গতি ব্যবহার করতে পারেননি তিনি, উইকেট টেকিং অ্যাবিলিটি থাকলেও উইকেট টেকার হতে পারেননি। ১৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে মাত্র ৪০ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি, তবে ব্যক্তিগত ২৪ বছর বয়সের পর আর সাদা পোশাকে দেখা যায়নি তাঁকে।