এক টেস্টেই আটকে যাওয়া ক্যারিয়ার

ক্রিকেটের সবচেয়ে কঠিন এই ফরম্যাটটিতেও ভারত যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে বোলারদের নিয়ে। আর এর জন্য মাত্র এক টেস্ট খেলেই একাদশের বাইরে চলে যাওয়া টেস্ট ক্রিকেটারের সংখ্যা ভারতের ইতিহাসে নেহায়েৎ কম নয়। যদিও, আজ তাঁদের কথাই বলবো - যারা সাম্প্রতিক সময়ে এমন দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন।

ভারতে ক্রিকেট প্রতিভার শেষ নেই। আবার একই সাথে এটাও ঠিক যে, বরাবরই ভারত নিজেদের একাদশ নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকে। আর সে কারণেই, বিস্তর ক্রিকেটার নিজেদের সামর্থ্য থাকার পরও পর্যাপ্ত সুযোগ পান না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।

কথাটা সত্যি টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও। ক্রিকেটের সবচেয়ে কঠিন এই ফরম্যাটটিতেও ভারত যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে বোলারদের নিয়ে। আর এর জন্য মাত্র এক টেস্ট খেলেই একাদশের বাইরে চলে যাওয়া টেস্ট ক্রিকেটারের সংখ্যা ভারতের ইতিহাসে নেহায়েৎ কম নয়। যদিও, আজ তাঁদের কথাই বলবো – যারা সাম্প্রতিক সময়ে এমন দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন।

  • জয়দেব উনাদকাত

ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করলেও জাতীয় দলে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি জয়দেব উনাদকাত। জাতীয় দলে এক টেস্ট, সাত ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি খেলা উনাদকাত ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬০০ উইকেট।

বাঁ-হাতি এই পেসারের ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়। এরপর আর সুযোগ পাননি। যদিও, রঞ্জি ট্রফিতে তিনি সময়ের সেরা পেসারদের একজন।

  • নামান ওঝা

দারুন প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও ওঝা কখনোই নিজেকে ফার্স্ট চয়েজ উইকেটরক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। এবং ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ই তিনি বেঞ্চ গরম করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশের হয়ে প্রায় ৪০ এর বেশি গড়ে ১০ হাজার এর কাছাকাছি রান করেছেন।

২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়। সেই ম্যাচে করেন ৫৬ রান। যদিও, সাদা পোশাকে আর সুযোগই পাননি।

  • কর্ণ শর্মা

ভারতীয় লেগ স্পিনার কর্ণ শর্মাও দুর্ভাগ্যের স্বীকার হয়েছেন। একটা নয়, দু’টো ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে।

ভারতের হয়ে ২০১৪ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নামেন কর্ন শার্মা। সেই ম্যাচে ভারতের হয়ে একটি উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি। তবে এরপর আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের হয়ে মাঠে নামেননি এই স্পিনার।

পরের মাসেই তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির। সেই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে চার উইকেট নেওয়া কর্ণকে আর কখনো টেস্টে ডাকেনি ভারত। ওয়ানডেও খেলেন মোটে দু’টো।

  • থাঙ্গারাসু নটরাজন

২০২১ সালের ঐতিহাসিক সেই গ্যাবা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় ‘ইয়র্কার স্পেশালিস্ট’ খ্যাত থাঙ্গারাসু নটরাজনের। যদিও, সেই টেস্টটা তাঁর আদৌ খেলার কথা ছিল না।

তিনি অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন ব্যাক আপ হিসেবে। তবে, শেষ অবধি দলের এক গাদা ইনজুরির কারণে টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে খেলাতে বাধ্য হয়। তবে, এরপর আর আদৌ টেস্ট খেলা হয়নি তাঁর।  যদিও, তাঁর সুযোগ এখনও ফুরিয়ে যায়নি।

  • বিনয় কুমার

সাবেক ভারতীয় ফাস্ট বোলার। ২০১২ সালে টেস্ট অভিষেক হয় ভারতের বিপক্ষে। একটা উইকেট নিয়েছিলেন ওয়াকায় অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে। এরপর আর কখনোই সাদা পোশাকে খেলা হয়নি।

যদিও, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে মোটামুটি নিয়মিতই সুযোগ মিলেছে ভারত। ভারতের হয়ে ৩১ টি ওয়ানডে আর নয়টি টি-টোয়েন্টি খেলে প্রায় ৫০ টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে, টেস্ট ক্রিকেটটা তাঁর জন্য হতাশার কাব্য হয়েই রয়েছে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...