এশিয়া কাপ শুরুর আগে পাকিস্তান যেন রীতিমত উড়ছিল। ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানের মুকুট প্রাপ্তিতে বাবর আজমের দলটা হয়ে উঠেছিল প্রায় অপরাজেয়। তবে পাকিস্তানের সেই জয়রথ, আগ্রাসন— দুটোই থামিয়ে দিয়েছে ভারত। ২২৮ রানে হারিয়ে উড়তে থাকা পাকিস্তানকে যেন এই এক ম্যাচ দিয়েই মাটিতে নামিয়ে আনলো রোহিত শর্মার দল।
পাকিস্তানের এমন বড় পরাজয় অবশ্য শ্রীলঙ্কায় বসেই দেখেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। টুইটারে কিঞ্চিৎ সমালোচনাও করেছেন। তবে একই সাথে, উত্তরসূরীদের ফিরে আসার ব্যাপার দারুণ আশাবাদী সাবেক এ ক্রিকেটার।
নিজের অফিশিয়াল টুইটারে তিনি লিখেন, ‘হারা জেতা খেলারই তো একটা অংশ। তবে মাঠে প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করতে না পারা কিংবা কোনো ইন্টেন্টের ছাপ না রাখা দু:খজনক। ভারত এ ম্যাচে সব বিভাগেই আধিপত্য দেখিয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং— সব ইউনিটেই ওরা ব্যবধান তৈরি করেছে। বিরাট কোহলি এ ম্যাচ দিয়েই ১৩০০০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলো। ওকে অভিনন্দন জানাই। আর আমাদের ছেলেদের প্রতিও আমি আশাবাদী যে, ওরা খুব তাড়াতাড়িই নিজেদের চেনা ছন্দে ফিরবে।’
কলম্বোতে ভারত-পাকিস্তান মধ্যকার এ ম্যাচের ফলের জন্য অবশ্য ক্রিকেট বিশ্বের চোখ রাখতে হয়েছে ২ দিন। প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে পুরোপুরি ম্যাচ না হওয়ায় খেলা গড়ায় রিজার্ভ ডে-তে। তাতে পাকিস্তানকে ৩৫৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ভারত।
সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১২৮ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। ভারত ম্যাচটি জিতে নেয় ২২৮ রানে। রানের ব্যবধানে পরাজয়ের দিক দিয়ে যেটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় বড় পরাজয়।
এর আগে ২০০৯ সালে ২৩৪ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। যেটি পাকিস্তানের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে উড়িয়ে শুরুটা দারুণ করেছিল পাকিস্তান। তবে পরের ম্যাচে ভারতের কাছে এমন হারের পর এখন ফাইনাল স্বপ্নই অনেক দূরের পথ মনে হচ্ছে পাকিস্তানের জন্য। ফাইনাল স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের শ্রীলঙ্কাকে হারাতেই হবে পাকিস্তানকে। আর আর সেটি হলে, প্রথম বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালের মঞ্চ হবে ভারত-পাকিস্তান মহারণ।