‘ফার্স্ট গোল অ্যাকমপ্লিশড!’ অর্থাৎ প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছি। এমনটাই নিজের ইন্সটাগ্রামে জানিয়েছেন, ইন্টার মিয়ামি সিএফ দলের স্বল্পভাষী জীবন্ত কিংবদন্তি লিওনেল মেসি।
গত বুধবারেই তারা কলম্বাস ক্রিউ কে ৩-২ গোলে হার মানিয়ে জয় করে এমএলএস সাপোর্টার্স শিল্ড। তবে এখান থেকেই মূলত তাদের আসল যাত্রা শুরু হচ্ছে। এবার নিজেদের সত্যিকারের বড় দল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
মেসির ভাষ্যে,’আমরা একত্রে আরও কিছু জয়ের আশায় এগিয়ে চলবো।’ যদিও দলের আগামী লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের সেরা এমএলএস কাপ জয়। তবে এখোনি মিয়ামি শিবিরে চ্যাম্পিয়ন্স রব তুলে ফেলেছেন সুয়ারেজ, জর্দি আলবারা।
আদতেও বিশ্লেষকরা পরিসংখ্যানে অন্য সব দলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছেন হেরনদের। হওয়াটাও স্বাভাবিকই। গত দুই মৌসুমে যে তারকা ঠাসা দল গড়েছে, তা বিশ্বের যেকোনো দলকেই টেক্কা দিতে পারবে।
তবে লকার রুমের এই উচ্ছ্বাসের আরও কিছু ইতিহাস রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকাল ২০২০ থেকেই ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবের রয়েছে পরাজয়ের ইতিহাস। প্লে-অফের প্রথম ধাপও পেরোতে পারেননি আগে।
সে কলঙ্কের অধ্যায় কাটে জীবন্ত কিংবদন্তি মেসির আগমনে। ইস্টার্ন কনফারেন্সে প্রথম বারের মতো ১৪ তম হয় সেবার।
শুনতে ১৪ তম শোনালেও ইতিহাসের পাতা ঘেটে বললে আদতেই তা বড় অর্জন। ২৩ সালে বিশ্বজয়ী মেসির আগমন হয় হেরন খ্যাত গোলাপি লকারে। তখন দল ছিল একদমই টেবলের তলানিতে। সেখান থেকে বলতে গেলে একাই টেনে দলকে ওঠান এই লিটল বয় ফ্রম রোজারিও।
ইনজুরিতে না পড়লে হয়তো ইউ এস ওপেন কাপের ফাইনালটাও বাগিয়ে নিতে পারতেন তিনি।
তবে ২৪ মৌসুমটা যেন সত্যিই অভাবনীয় হেরনদের জন্যে। একে একে সুয়ারেজ, জর্দি আলবার মতো কিংবদন্তিতুল্য দের আগমনেই ফলোত তা সম্ভব হয়েছে। যার সুবাদে এবার তারা এতদূর এসেছে।
তবে যাত্রা কিন্তু এখানেই শেষ না। যেমনটা মেসি বলেছেন, ‘আমাদের এখন আগামীর দিকে নজর দিতে হবে।’ এখনও ইন্টার মিয়ামি দলকে পারি দিতে হবে আরও বহু ক্রোশ। তবেই ঝুলিতে আসবে ইতিহাসের প্রথম শিরোপা। আর রোজারিওর রাজপুত্তুরের টুপিতে যোগ হবে আরেকটা নতুন পালক।