এই তো সেদিনের কথা। বিশ্বকাপের মঞ্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কি অভাবনীয় এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দলের প্রয়োজনে শরীর জুড়ে পেশির টান নিয়েও দাঁড়িয়ে রইলেন। ম্যাচ জেতালেন। দ্বি-শতক হাঁকালেন। সেদিনটি কি আর চাইলেই ভোলা যায়!
বিশ্বকাপ জুড়ে বেশ একটা ধকল গেছে নিশ্চিতরুপেই। এরপর মানসিকভাবে নিজেকে সময় দেওয়ার সময় খুব কমই হয়ত পেয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শরীরেও খানিকটা ছিল ক্লান্তি। সেসব কারণে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চে পারফর্ম করতে ব্যর্থ তিনি।
মানসিক অবসাদ আর শারীরিক ক্লান্তির কারণ দেখিয়ে এবার তিনি বিশ্রামের আর্জি জানালেন। তার বদলে অন্য কাউকে সুযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। খানিকটা হতাশাগ্রস্তও সম্ভবত হয়ে পড়েছেন তিনি।
কেননা রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে এখন অবধি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। রানের দিক থেকে সর্বোচ্চ অবদান তার ২৮। এসব কারণেই মানসিক অবসাদ যেন হতাশায় রূপান্তরিত হয়েছে।
কোন ধরণের দ্বিধা ছাড়াই বলে দেওয়া যায়, ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের অত্যন্ত জমকালো আয়োজন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। খেলোয়াড়রা মুখিয়ে থাকেন আইপিএল খেলার জন্য।
তবে, এবারের আসরে যেন একটু ভিন্নতাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। খেলোয়াড়দের নানা কারণে আইপিএল থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘটনা বেশ কয়েকটি ঘটেছে ২০২৪ মৌসুমে।
ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার ডেভিড উইলি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আইপিএল খেলতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই কারণ দেখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা।
অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের হয়ে বেশ কঠিন একটা মৌসুমই পার করতে হয়েছে জাম্পাকে। ঠিক সে কারণেই বিশ্রাম ছিল ভীষণ প্রয়োজন। এই তালিকায় রয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার জেসন রয়ও।
তিনিও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আইপিএল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেন। তার পরিবর্তনে কলকাতা নাইট রাইডার্স ফিল সল্টকে দলে ভিড়িয়েছে। এছাড়া ইনজুরি আক্রান্ত হয়েও আইপিএল থেকে ছিটকে গেছেন বিদেশী বেশ কিছু খেলোয়াড়।
তাদের মধ্যে রয়েছেন অজির অলরাউন্ডার মিশেল মার্শ। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে তাঁকে ফিরে যেতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াতে। এছাড়াও আরেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার আঙ্গুলের ইনজুরি নিয়ে দিনাতিপাত করছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ডাগআউটে।
এই বিদেশী খেলোয়াড়দের চোখ ধাঁধানো পারফরমেন্সের কারণে আইপিএলের জৌলুশ বেড়েছে কয়েকগুণ। তাদের অনুপস্থিতির হার ক্রমাগত বাড়তে থাকলে, আইপিলের জনপ্রিয়তায় পড়তে পারে ভাটা। সেদিক বিবেচনায় আইপিএল কর্তৃপক্ষকেও বিবেচনায় নেওয়া উচিত নানা বিষয়।
বর্তমান সময়ে খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের ডিউটি বেড়েছে আগের থেকেও বেশি। সেই সাথে প্রায় মাস দুয়েক খেলোয়াড়দের ব্যস্ত থাকতে হয় আইপিএলে। নিজেদেরকে সময় দেওয়ার সুযোগটা পাচ্ছেন না খেলোয়াড়রা। আইপিএলের সময়সীমা কমিয়ে আনা হতে পারে সমাধান।