ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এর গভর্নিং কাউন্সিল বোর্ড শুরু থেকেই এবারের আসর আরব আমিরাতে আয়োজনের কথা বললেও ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) তাদের কথায় সাড়া দেয়নি। আইপিএল শুরুর এক সপ্তাহ আগেও গভর্নিং কাউন্সিল এবং চার ফ্র্যাঞ্চাইজি মত দেয় যে করোনার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবারের আসর আরব আমিরাতে আয়োজন করা হোক।
তবে বিসিসিআই এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করে। যেহেতু তাঁরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ সফল ভাবেই ভারতে আয়োজন করে, তাই সংস্থাটি ভেবেছিল আইপিএলও অমনভাবে পারবে তারা। সে হিসেবে আইপিএল আয়োজনে অন্য কোনো সিদ্ধান্তে কর্নপাত করেন বিসিসিআই। অবশ্য আইপিএল শুরুর আগে ভারতের করোনা পরিস্থিতি এতোটা ভয়াবহ ছিলো না। তবে স্থগিত আইপিএলের বাকি অংশ শারজাহ, দুবাই এবং আবুধাবিতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এক কর্মকর্তা জানান, ‘আরব আমিরাত শুরু থেকেই আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রথম পছন্দ ছিলো এবারের আসরের জন্য। কিন্তু বিসিসিআই থেকে কেউ এ ব্যাপারে এগিয়ে আসেননি। এভাবে একটা সময় এই সিদ্ধান্তটি চাপা পড়ে যায়।’
একই সময়ে একজন ফ্র্যাঞ্চাইজি অফিসিয়াল জানান যে, এবারের ভ্রমণ ব্যবস্থায় প্রচুর ত্রুটি আছে, আরব আমিরাত অনেক নিরাপদ ছিলো। এবারের আসরের ছয় ভেন্যু ছিলো মুম্বাই, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু এবং কলকাতা।
ওই অফিসিয়াল বলেন যে, ‘আরব আমিরাতে আমরা ভ্রমণ করতাম বাসে এবং সবাই একই হোটেলে থাকতাম। সেখানে সবকিছুর একটা রুটিন ছিলো। কিন্তু এখানে শহর পরিবর্তন করছি আমরা, আমরা জানি না পাইলট এবং ফ্লাইট এটেন্ডেন্স কোয়ারেন্টাইনে আছেন কি না, ফ্লাইটের খাবারের মান কেমন। ফ্লাইটের আইডিয়াটা কাজ করেনি।’
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্থগিত হবার পর ২০২১ আসরের আইপিএল মাঝপথেই স্থগিত করার সিদ্ধান্ত আসে। নাইট রাইডার্সের দুইজন খেলোয়াড় করোনা পজিটিভ হলে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেন। চেন্নাইর বোলিং কোচ লক্ষিপতি বালাজি এবং তাদের বাস ড্রাইভার করোনা পজিটিভ হবার পর চেন্নাই সুপার কিংসও রাজস্থানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে অনীহা প্রকাশ করে।
শুরুতে না মানলেই ভারতীয় বোর্ডকে এখন হয়তো আবার আরব আমিরাতে আয়োজন করতে হতে পারে। আজই আনন্দ বাজার পত্রিকাকে সৌরভ গাঙ্গুলি বলেছেন, তাদের সে চিন্তা আছে, ‘চিন্তা তো থাকবেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কী হবে জানা নেই। গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল হওয়ার পরেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে বেছে রাখা হয়েছিল। তবে দেখা যাক কি হয়! এখনও ছয় মাস হাতে আছে।’