টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলে – সেই ফাঁকা সময়টাতে সংস্থাটিতে আয়োজন করতে চায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ম্যাচের সংখ্যা কমিয়ে হোক, চলতি বছর যেকোনো মূল্যে আইপিএল আয়োজন করতে চায় বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। কারণ, ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি বাতিল হলে বিসিআইয়ের চার হাজার কোটি রুপির ক্ষতি হবে।
তবে, ভারতে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি ভাল নয়। ভারত বিকল্প ভেন্যু খুঁজছে আইপিএলের জন্য। শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাবনা আগে থেকেই ছিল। নতুন করে এসেছে নিউজিল্যান্ডের নাম। নিজেদের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আইপিএলের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কিউইরা।
বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, ‘আইপিএল ভারতের মাটিতে আয়োজন করাটা আমাদের প্রথম লক্ষ্য। যদি করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতেই থাকে, তবে এখানে আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব হবে না। তখন বাধ্য হয়ে আমাদের বিদেশের মাটিতে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের চিন্তা করতে হবে। ইতোমধ্যে দু’টি দেশ আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাত। এবার নিউজিল্যান্ডও আইপিএলের আয়োজক হতে আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে।’
তবে আইপিএল নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বিসিসিআইও। কারণ আইপিএলের ভাগ্য নির্ভর করছে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপর। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে, আইপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা করে রেখেছে বিসিসিআই।
শুরুতে, গেল ২৯ মার্চ থেকে আইপিএলের ১৩ তম আসর শুরুর কথা ছিলো। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে কয়েকদফা লক ডাউন করা হয় ভারত। নির্ধারিত সময়ে তা শুরু হতে পারেনি।