ক্রিকেটের বুনিয়াদি সংস্করণে প্রথম জয় সব টেস্ট খেলুড়ে দেশের জন্য বহুল আরাধ্য, আকাঙ্ক্ষিত। সেই আরাধ্য জয়টা অবশেষে পেয়ে গেল আয়ারল্যান্ড। অভিষেকের সাত বছর আর সাত ম্যাচ পর প্রথমবারের মত সাদা পোশাকে জয় উদযাপন করল আইরিশরা।
রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে আফগানিস্তানকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে দলটি। প্রথম ইনিংসে মার্ক অ্যাডেয়ারের ফাইফারের কল্যাণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে এসেছিল তাঁদের হাতে, এরপর ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ক্রমাগত জয়ের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল তাঁরা। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নির অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত লক্ষ্য পেরিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড।
অষ্টম ম্যাচে টেস্ট ইতিহাসের প্রথম জয় এমন কীর্তি কিন্তু কোনভাবেই ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র পাঁচটি দেশ পেরেছে এর চেয়ে কম ম্যাচ খেলে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে। মজার ব্যাপার, এই পাঁচ দলের মধ্যে নেই ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মত পরাশক্তির নাম।
সবচেয়ে কম অপেক্ষা করতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচটাই ছিল তাঁদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। আর সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিল অজিরা। পরের ম্যাচেই অবশ্য ইংলিশরা আবার প্রতিশোধ নিয়েছিল, অর্থাৎ প্রথম জয় পেতে তাঁদের লেগেছে দুইটি ম্যাচ।
পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান ইংল্যান্ডের মতই নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দীর্ঘতম সংস্করণে জয় পেয়েছিল। পাকিস্তান হারিয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে, অন্যদিকে আফগানরা পরাজিত করেছিল নবাগত আয়ারল্যান্ডকে। এছাড়া পাঁচ ম্যাচ পর জিততে সক্ষম হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাকিদের মধ্যে জিম্বাবুয়ে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের অভিষেক জয় পেয়েছিল যথাক্রমে এগারোতম ও বারোতম ম্যাচে। শ্রীলঙ্কাকে খেলতে হয়েছে ১৪ ম্যাচ; আর ভারতের লেগেছিল ২৫ ম্যাচ, সেবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল তাঁরা।
দীর্ঘতম সংস্করণে একটা জয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ডকে। স্বীকৃতি পাওয়ার পাঁচ বছর পর ও ৩৪টি ম্যাচ খেলার পর প্রথমবারের মত টেস্টে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। অন্যদিকে ১৯৫৬ সালে কিউইরা সাদা পোশাকে প্রথম জয় পেয়েছিল; এর আগে অবশ্য ৪৪ ম্যাচ খেলতে হয়েছিল তাঁদের।