সত্যিই তবে ফুরিয়ে গেলেন সাকিব?

পঞ্চম বোলার হিসেবে আক্রমণে এসেছিলেন এই অর্থোডক্স স্পিনার, তবে সেই অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি। প্রথম ওভারেই ১৮ রান হজম করতে হয় তাঁকে। সুরেশ রায়না একাই তাঁর বলে দুই ছয় ও এক চার হাঁকিয়েছিলেন। বাঁ-হাতি ব্যাটারের বিপক্ষে তিনি কতটা নড়বড়ে সেটাই আরেক বার স্পষ্ট হয়ে উঠল যেন।

ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সাকিব আল হাসান থাকবেন সেটা নিয়ে সংশয় ছিল না কারো মনেই। কিন্তু টেস্ট সিরিজের মাঝপথে প্রচ্ছন্ন অবসরের বার্তা দিয়ে নিজেকে টি-টোয়েন্টি থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। বিস্ময়কর কাজটা কেন করলেন সেটার উত্তর বোধহয় পাওয়া যাবে আমেরিকার ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগে চোখ রাখলেই।

লস অ্যাঞ্জেলস ওয়েবস বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে কেবল দলেই টানেনি, নিজেদের অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ডও তাঁর বাহুতে তুলে দিয়েছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচে তিনি ব্যাটে বলে যেভাবে ব্যর্থ হয়েছেন সেটা হতাশাজনক বটে।

আগে ব্যাটিং করতে নামা লস অ্যাঞ্জেলসের হয়ে তিন নম্বরে বাইশ গজে এসেছিলেন টাইগার তারকা। তিন তিনটা বাউন্ডারিও হাঁকিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু নামের পাশে জমা করতে পেরেছেন ১৫ বলে ১৩ রান! অর্থাৎ ডট বলই দিয়েছেন প্রায় চার ভাগের তিনভাগ সময়, আর এই ডট বলের চাপে ষোলতম বলে নিজের উইকেট দিয়ে বসেন তিনি।

ব্যাটার সাকিব তো অনেকদিন ধরেই অফ ফর্মে, তবে বোলার সাকিবের ওপর প্রত্যাশা ছিল ভাল কিছু করে দেখাবেন। শেষ টেস্টেও তো এক ইনিংসে চার উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি, কিন্তু ব্যাটিংয়ের মত এদিন বোলিংয়েও শোচনীয় অবস্থা ছিল তাঁর।

পঞ্চম বোলার হিসেবে আক্রমণে এসেছিলেন এই অর্থোডক্স স্পিনার, তবে সেই অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি। প্রথম ওভারেই ১৮ রান হজম করতে হয় তাঁকে। সুরেশ রায়না একাই তাঁর বলে দুই ছয় ও এক চার হাঁকিয়েছিলেন। বাঁ-হাতি ব্যাটারের বিপক্ষে তিনি কতটা নড়বড়ে সেটাই আরেক বার স্পষ্ট হয়ে উঠলো যেন।

সাকিব আল হাসান আসলে বুঝতে পেরেছিলেন সময়টা শেষ হয়ে এসেছে, তাই তো বোঝা হয়ে জাতীয় দলে আর থাকতে চাননি। তবু আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন, ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ভাল করলে আর টিম ম্যানেজম্যান্ট চাইলে ফেরার সম্ভাবনা আছে তাঁর। কিন্তু আমেরিকান লিগে যে পারফরম্যান্স দেখা গেল তাতে সম্ভাবনা তলানিতে ঠেকেছে৷

Share via
Copy link