দাপটের সঙ্গে টেস্ট জয়ের পর এবার বাংলাদেশের দুয়ারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ঘরের মাঠে লিটন দাসের দল যে ফেবারিট এ নিয়ে কোন সংশয় নেই, তবে দুশ্চিন্তা যে একেবারেই নেই তা কিন্তু না। মিডল অর্ডারটা যে এখনও স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে না।
অনেকভাবে চেষ্টা করা হলেও এই পজিশনে ঠিকঠাক সমাধান মেলাতে পারছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। অবশ্য পারবেই বা কি করে, এখানে যে নেই কোন স্পেশালিস্ট ব্যাটার। একমাত্র তাওহীদ হৃদয়ের ঘাড়ে চেপেই চলছে সবকিছু। আর শূন্যস্থান পূরণে ফিনিশারদের উপরে পাঠিয়ে খোঁজা হচ্ছে সমাধান।
এই যেমন গত সিরিজের মিডল অর্ডারের দায়িত্বে ছিলেন তাওহীদ, জাকের আলী, শামীম হোসেন পাটোয়ারি। কোন কোন ম্যাচে নুরুল হাসান সোহানও ছিলেন। এবার পরিবর্তনের পথে হেঁটেছেন নির্বাচকরা। এই ভূমিকায় যোগ করা হয়েছে নতুন দুই নাম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ব্যর্থতায় নাম কাটা গেছে শামীমের।

তবে প্রশ্নটা আবারও ওঠে, আদতে সমাধান হলো তো? অঙ্কনকে প্রপার মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবেই ডেকেছে বোর্ড। আগেভাগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সাইফউদ্দিন খেলবেন সাত নম্বরে। অর্থাৎ মিডল অর্ডারেই। এই সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক সেটা একটু বিচার করা যাক।
সম্প্রতি শেষ হওয়া রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্টে মিডল অর্ডারে ব্যাট করা অঙ্কন চার ইনিংসে রান করেছেন মোটে ৩৬, সাথে স্ট্রাইক রেট ছিল ৭৬.৫৯। একেবারেই যে ব্যর্থ হয়েছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ব্যর্থ হওয়ার পুরষ্কার স্বরূপই বোধহয় টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। এমন ব্যর্থ একজনের উপর আন্তর্জাতিক মঞ্চে কতটা ভরসা করা যায়?
উত্তরটা পাশ কাটিয়ে রেখে সাইফউদ্দিনের দিকে একটু যাওয়া যাক। এ যাবৎকালে তিনি ফিনিশার হিসেবেই ব্যাট করেছেন, তবে এবার প্রমোশন হয়েছে তাঁর, প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর ভাষ্যমতে সাত নম্বরের জন্য তাকে বিবেচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ এখানেও তিনি পরীক্ষীত নাম নন।

সে যাইহোক, পরীক্ষার মঞ্চ হিসেবে এবারের মত ধরে নিয়ে প্রথম ম্যাচে কারা এই পজিশনের স্থান পাবেন সেটা নিয়ে আলোচনা করা যাক। তাওহীদ হৃদয়ের চার এবং সাইফউদ্দিনের সাত নম্বর ধরে নেওয়া যাক। পাঁচ আর ছয় নম্বর আসন ফাঁকা থাকে, এখানে ক্যান্ডিডেট তিনজন, অঙ্কন, সোহান আর জাকের।
এক্ষত্র ফর্মের বিবেচনায় নাম বাদ পড়তে পারেন জাকের। অর্থাৎ হৃদয়, অঙ্কন, সোহান এবং সাইফউদ্দিনই হতে পারেন সম্ভাব্য নাম। আরেকটা পন্থায় চাইলে ম্যানেজমেন্ট হাঁটতে পারে, সাইফ হাসানকে চারে, হৃদয় পাঁচে, সোহান অথবা জাকের ছয়ে, আর সাতে সাইফউদ্দিন। এখন দেখার প্রথম ম্যাচের পরিকল্পনা ম্যানেজমেন্ট কিভাবে করে!











