গত কয়েক মাসে ঈশান কিষাণের জীবনে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে; জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন, বারবার বিতর্ক শুরু হয়েছিল তাঁকে ঘিরে। এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) নিজের চেনা রূপে আবির্ভূত হতে পারেননি তিনি। তবে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে এসে কিছুটা হলেও ছন্দ ফিরেছে তাঁর; কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস।
কলকাতার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বারো ম্যাচ খেলে মাত্র ২২ গড়ে রান করেছিলেন এই ব্যাটার; হাফসেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছিলেন মোটে একবার। তাঁর নামের পাশে এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে বেমানান, স্বাভাবিকভাবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা দেয়া হয়নি তাঁকে। তবে নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াই শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি।
এদিন ইডেন গার্ডেন্সে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২২ বল খেলে ৪০ রান করেছেন এই ওপেনার। পাঁচটি চারের বিপরীতে দুই ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। তাঁর এমন ব্যাটিংয়ে ভর করেই ১৬ ওভারে নেমে আসা দ্বৈরথে জয়ের ভিত পেয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
বৈভব অরোরাকে প্রথম ওভারেই চার হাঁকিয়ে আগ্রাসী মেজাজে ইনিংসের সূচনা করেছিলেন ঈশান। এরপর হার্শিত রানার ওভার থেকে একাই আদায় করেছিলেন ১৪ রান। বাকি বোলারদেরও ছাড় দেননি তিনি; সুনীল নারাইন, মিচেল স্টার্কদের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী শট খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাঁর সৌজন্যে পাওয়ার প্লের পূর্ণ সুবিধা আদায় করতে পেরেছিল মুম্বাই।
যদিও বাইশ গজে সেট হয়ে উইকেট বিলিয়ে দেয়ার ভুল এড়াতে পারেননি এই বাঁ-হাতি। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েছিলেন তিনি; অথচ এবারের আসরের দ্বিতীয় ফিফটি তখন তাঁর হাতের নাগালেই ছিল। তবে তাঁকে দোষ দেয়ারও কিছু নেই, আস্কিং রান রেটের সাথে পাল্লা দিতে গিয়েই এমনটা হয়েছে।
যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিলদের ভীড়ে এই তারকা এখন অনেকটাই ব্রাত্য। ঈর্ষণীয় প্রতিভা নিয়ে আসলেও প্রতিভার প্রতি এখনো সুবিচার করতে পারেননি তিনি। কিন্তু সময় এখনো বাকি অনেক, ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন কিছু নয় তাঁর জন্য। তবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইলে তাঁকে হতে হবে আরো অনেক বেশি ধারাবাহিক।