টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে সরব ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গন, কারা থাকবেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তা নিয়ে চলছে বিস্তার আলোচনা। এসব আলোচনায় অবশ্য যশস্বী জয়সওয়ালের নাম কিছুটা আড়ালে পড়ে গিয়েছিল, জাতীয় দলের আশেপাশে থেকেও বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে তাঁর জায়গা নিশ্চিত নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল। কেননা চলতি আইপিএলে নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ছিলেন না তিনি।
কিন্তু সঠিক সময়ে ঠিকই জ্বলে উঠলেন এই ব্যাটার, দল ঘোষণার আগ মুহূর্তে জানিয়ে রাখলেন নিজের বার্তা। ফলে ভারতের সেরা পনেরোজনে তাঁকে না রাখাটা কঠিন হবে নির্বাচকদের জন্য। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন তিনি। অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়েছ তবেই মাঠ ছেড়েছেন।
এই বাঁ-হাতি এদিন ৬০ বলে করেছেন ১০৪ রান। নয় চার ও সাত ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৭৩.৩৩! এমন ব্যাটিংয়ের ফলে মুম্বাইয়ের ১৮০ রানের লক্ষ্য অনায়াসে পেরিয়ে গিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস; আট বল আর নয় উইকেট হাতে রেখে জয় পেয়েছে তাঁরা।
শুরুতে কিছুটা রয়েসয়ে খেলেছিলেন তিনি, তবে চতুর্থ ওভারে জেরাল্ড কোয়েটজির ওভারে আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠেন; সেই ওভারে আদায় করেন ১৪ রান। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে, পুরো ইনিংস জুড়েই সাবলীল ব্যাটিং করে গিয়েছেন।
মাঝে জশ বাটলার আউট হলেও থামেননি এই তারকা, ৩১ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। মাইলফলক স্পর্শ করার পর আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি, একের পর এক বাউন্ডারিতে জয়ের সমীকরণ ক্রমাগত সহজ করে তোলেন। সেই সাথে সেঞ্চুরির সঙ্গে দূরত্ব কমতে থাকে তাঁর।
আঠারোতম ওভারে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, তিলক ভার্মার সুইপার কভারে ঠেলে দিয়ে তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করেন এই ওপেনার। আইপিএল ক্যারিয়ারে এটি তাঁর দ্বিতীয় শতক। শেষ পর্যন্ত জয়সূচক রান নেন তিনি, ফলে সপ্তম জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরো মজবুত করে রাজস্থান।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি থাকবেন টপ অর্ডারে; তাঁদের সঙ্গে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন শুভমান গিল আর যশস্বী জয়সওয়াল। তবে দুর্দান্ত এই সেঞ্চুরিতে গিলকে অনেকটাই পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন তিনি। এখন কেবল ধারাবাহিকতা ধরে পারফর্ম করার পালা, তবেই মিলবে বিশ্ব মঞ্চে খেলার টিকিট।