বয়সটা মোটে ২৪, এরই মধ্যে হুলিয়ান আলভারেজ জিতেছেন একটি বিশ্বকাপ, দুইটি কোপা আমেরিকা ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এতসব অর্জনের সাথে তিনি জিততে চেয়েছিলেন অলিম্পিকের স্বর্ণপদকও। কিন্তু শেষ অবধি ফ্রান্সের বাঁধা টপকাতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনার অলিম্পিক দল।
এত অল্প সময়ে এতকিছু জেতার পরও কোথাও একটা অতৃপ্তি রয়ে গিয়েছিল তার। ম্যানচেস্টার সিটির সাইডবেঞ্চেই কাটিয়েছেন এতকাল অবধি। নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখবার ঠিকঠাক সুযোগই তিনি পাননি। তাইতো মনের ভেতর একটু অস্বস্তি ছিল তার। পেপ গার্দিওলার রণকৌশলে তিনি নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাইতো বাধ্য হয়ে ইংলিশ জায়ান্টদের সাথে সম্পর্কের ইতি ঘটালেন আলভারেজ।
স্প্যানিশ ক্লাব আতলেটিকো মাদ্রিদ তাকে লুফে নিয়েছে। তবে খুব একটা সস্তায় তাকে পেয়েছে দলটি সেটা বলবার উপায় নেই। সবমিলিয়ে প্রায় ৯৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হয়েছে আতলেটিকো মাদ্রিদকে। সচারচর আতলেটিকো মাদ্রিদকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে দেখা যায় না। তবুও ক্লাব ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তাকে দলে নিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
এর আগে পর্তুগীজ জোয়াও ফেলিক্সকে ১২৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে নিজেদের করেছিল ক্লাবটি। সে তুলনায় আলভারেজকে বেশ স্বল্প খরচেই পাওয়া গেছে। যদিও এখানে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে আলভারেজের সাবেক ক্লাব ছাড়ার তাড়না। তিনি নিজের ক্যারিয়ারের উজ্জ্বল দিনগুলোকে হেলায় হারাতে চাননি। তিনি চাননি অন্যের ছায়ায় দিনাতিপাত করতে।
শিরোপা জেতার স্বাদ তিনি পেয়েছেন। তবে এক বিশ্বকাপ জয় ছাড়া, বাকি শিরোপায় যথাযথভাবে নিজের সক্ষমতা ব্যবহারও করতে পারেননি তিনি। তাইতো নিজেকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চেয়েছেন। হতে চেয়েছেন নতুন কোন ক্লাবের আশার আলো। সেই পথেই বাড়িয়েছেন নিজের পা।
আগামী মৌসুমে তাকে লড়াই করতে দেখা যাবে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, লামিন ইয়ামলদের সাথে। তরুণ তুর্কিদের সাথে তার লড়াইটে জমবে, তা নিশ্চিত। এখন দেখবার পালা নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য ঠিক কতটুকু প্রস্তুত হুলিয়ান আলভারেজ।