কাগজে কলমে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই প্রমাণটা রাখতে হতো বাইশ গজে। শ্রীলঙ্কার টুঁটি চেপে ধরে নিজেদের শক্তিমত্তার জানানই যেন দিল প্রোটিয়ারা। সে যাত্রায় কেশভ মহারাজও ঘুড়িয়েছেন হাত দেখিয়েছেন স্পিনজাদু।
লংকান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিজের প্রথম উইকেটে পরিণত করেন। ঠিক তার পরের বলেই তুলে নেন সাদিরা সামারাভিক্রামার উইকেট। হ্যাট্রিক উইকেট শিকারের একটা সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন তিনি। তবে সেটা আর বাস্তবায়িত হয়নি।
দুই দলেরই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। টুর্নামেন্টে একটা ভাল মোমেন্টাম পাওয়ার আশা ছিল দুই দলেরই। তাছাড়া বিশ্বকাপ কেবলই শুরু হয়েছে। উইকেটগুলো খানিকটা ব্যাটিং সহায়কই হয়ত ঠেকেছিল শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার কাছে। তাইতো তিনি টস জেতা মাত্রই প্রথমে ব্যাট করবার সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু তার সেই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করবার পুরো দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেনে কেশভ মহারাজরা। প্রোটিয়াদের পেস আক্রমণ এই সময়ের সেরা। সেই প্রমাণটাই রেখেছেন তিনি এনরিচ নর্কিয়া, মার্কো জেনসনরা। পাওয়ার প্লে-তে লঙ্কান ব্যাটারদের হাত খোলার কোন সুযোগই দেননি। তাতে করে চাপ ঘনিভূত হয় লঙ্কান শিবিরে।
সেই চাপকে দ্বিগুণের বেশি করেছেন কেশভ মহারাজ। নবম ওভারের শুরুতে শ্রীলঙ্কার রান ছিল ২ উইকেটে ৩১। কেশভ মহারাজ শ্রীলঙ্কাকে মাথা তুলে দাঁড়াতেই দিতে চাইলেন না। সে দায়ভার অবশ্য হাসারাঙ্গারও ছিল। তিনি ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে বড় শট খেলার প্রয়াশ করেন। তাতে ব্যর্থ হন। কুইন্টন ডি কক স্ট্যাম্পিং করতে কোন রকম ভুল করেননি।
এরপর সামারাভিক্রামা এসে নিতান্ত এক সাধারণ বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। জোরের উপর করা বলটা ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। তাতে করে ফাইট ব্যাক করবার সমস্ত শক্তিই স্তিমিত হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নেওয়া ছাড়াও, বেশ ইকোনিমিক্যাল বোলিং করেছেন।
চার ওভারের স্পেলে মোটে ২২ রান হজম করেছেন বা-হাতি এই স্পিনার। একটি মাত্র ছক্কা ছাড়া আর কোন বাউন্ডারি হজম করতে হয়নি তার। টুর্নামেন্টের শুরুটা অন্তত ভালই হল মহারাজের। এখন তিনি গোটা বিশ্বকাপ জুড়েই নিজেকে মেলে ধরবার কাজটা করে যাবেন নিশ্চয়ই।