বর্তমান ক্রিকেটের সব থেকে জনপ্রিয় ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি। তবে, সময়ের সাথে পরিবর্তীত হয়েছে এই ফরম্যাটে খেলার ধরণ। আগে যেখানে ১৫০ রানকে ধরা হতো জয়ের জন্যে যথেষ্ট, বর্তমানে সেখানে ২০০ রানও নিরাপদ নয়।
তাই বর্তমানে শুধু রান করা নয় সাথে স্ট্রাইক রেটের দিকেও নজর রাখতে হয় ব্যাটসম্যানদের। তবে সময়ের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন একজন। তিনি হলেন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেন। ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বলা হয় কেভিন পিটারসেনকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের শুরুর দিকেই তিনি বর্তমান মেজাজে রান করে গেছেন। তার হাত ধরেই প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতে ইংল্যান্ড।
২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় আসর জিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদ পায় ইংল্যান্ড। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন কেভিন পিটারসেন। মাত্র ৬ ইনিংসে ২৪৮ রান করে প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্টও হন তিনি।
যেখানে সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার সাথে ২৬ বলে অপরাজিত ৪২ এবং ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সাথে ৩১ বলে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ দুইটি ইনিংস খেলেন। এছাড়া গ্রুপ পর্যায়ে পাকিস্তান ও সাউথ আফ্রিকার সাথে অর্ধশতকও হাকান তিনি। ২০০৭ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মোট ৩টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেন কেভিন পিটারসেন।
যেখানে ১৫ ইনিংসে ১৪৮.৩৩ স্ট্রাইক রেট এবং ৪৪.৬১ গড়ে ৫৮০ রান করেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে ৪ টি অর্ধশতক। বর্তমান সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার জস বাটলার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৪২ এভারেজ ও ১৪৪ স্ট্রাইক রেটে রান করছেন। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় সময়ের চেয়ে কতোটা এগিয়ে ছিলেন পিটারসেন।