একটা আক্ষেপ নিয়ে হয়ত মাঠ ছেড়েছেন কুইন্টন ডি কক, ইস! আর ক’টা রান থাকলেই সেঞ্চুরিটা হয়ে যেত। এমন ভাবনা আর জয়ের উচ্ছ্বাস মিলেমিশে যেন মিশ্র এক অনুভূতি। দলকে এনে দিলেন সহজ জয়, কিন্তু একটা মাইলফলক ছোঁয়া হল না!
গোহাটিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে খেলতে নামে রাজস্থান রয়্যালস। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকতা প্রথম ম্যাচটা হেরে শুরু করেছিল এবারের যাত্রা। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই জয়ের স্বাদ নিতে মরিয়া ছিল দলটি। রাজস্থান তো রীতিমত সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের স্টিম রোলারের নিচে হয়েছে পিষ্ট।
দলটাকে সেই পরিস্থিতি থেকে বেড়িয়ে আসার বিন্দুমাত্র সুযোগ দেননি কলকতার দুই স্পিনার। একপ্রান্ত থেকে বরুণ চক্রবর্তী, আরেক প্রান্তে মঈন আলী- এই দুইজনে মিলে কোণঠাসা করে ফেলেছিলেন রাজস্থানের ব্যাটারদের। নিজেদের আট ওভারে তাদের সম্মিলিত খরচা স্রেফ ৪০ রান। যেখানে বরুণ ১৭ রানের বিনিময়ে নিয়েছে দুই উইকেট।
মঈনও একই সংখ্যক উইকেট শিকার করেছেন ২৩ রান খরচায়। গোহাটির স্পিন সহায়ক উইকেটে রাজস্থান ব্যাটাররা খাবি খেয়েছেন, সেখানে দাঁড়িয়ে প্রায় হেসেখেলে ম্যাচ জিতেছে কলকাতা। যার সিংহভাগ কৃতীত্ব প্রোটিয়া ব্যাটার কুইন্টন ডি ককের প্রাপ্য।
একটা প্রান্ত থেকে তিনি একাই ব্যাট চালিয়ে গেছেন। স্পিন হচ্ছিল বটে। তাইতো ৯৭ রানের ইনিংসটি খেলতে হয়েছে ৬১ বল। সাধারণত এত বল খেলে ফেলার পর নিদেনপক্ষে ১২০ এর কাছাকাছি থাকার কথা ছিল তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ। তবে সে নিয়ে হয়ত তার আফসোস নেই।
ছয়টা ছক্কা ও আটটা চারে সাজানো ইনিংসটিতে ভর দিয়ে আট উইকেটের বড় জয় পেয়েছে কলকাতা। ফিল সল্টের অভাবটা যেন কোনভাবে অনুভূত হতে দিতে চাননা ডি কক। তাইতো শিরোপা জয়ের দিকেই থাকবে তার নজর। তবে পথটা দীর্ঘ, ধারাবাহিকতা থাকা তাই ভীষণ প্রয়োজন ডি কক ও তার দলের।