অবশেষে হাই স্কোরিং ম্যাচ দেখা গেলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে; খুলনা টাইগার্স বনাম ফরচুন বরিশালের ম্যাচে দুই দলের ব্যাটাররাই তান্ডব চালিয়েছেন। তবে এভিন লুইস, এনামুল হক বিজয়দের অর্ধশতকের পর আফিফ হোসেনের সময়োপযোগী ব্যাটিংয়ে শেষ হাসি হেসেছে খুলনা; মুশফিকের অনবদ্য ব্যাটিং প্রদর্শনীকে ব্যর্থ করে আট উইকেটের বড় জয় পেয়েছে তাঁরা।
টসে জিতে এদিন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক বিজয়। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে দারুণ বোলিং করেন নাহিদুল, ওশেন থমাসরা। তবে ইব্রাহিম জাদরানের উইকেট শাপে বর হয়ে আসে বরিশালের জন্য; তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকার ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন। তাঁর দেয়া মোমেন্টাম কাজে লাগিয়ে তামিম-মুশফিক গড়েন দুর্দান্ত একটা জুটি।
এই জুটি ৫৭ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে, বাঁ-হাতি ওপেনারকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসুম আহমেদ। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চাপ সৃষ্টির কোন সুযোগ দেননি, ১৯ বলে ২৭ রানেীর ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান তিনি। অন্য প্রান্তে মুশফিক ততক্ষণে ৩২ বলে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন হাফসেঞ্চুরির মাইলফলক।
শেষদিকে রিয়াদ আউট হলেও এই তারকার বাউন্ডারি বৃষ্টি বরিশালকে এনে দেয় ১৮৭ রানের বিশাল পুঁজি। কিন্তু এত বড় টার্গেটও কিছুই না ক্যারিবীয় ব্যাটারদের সামনে; সেটাই মনে করিয়ে দিলেন লুইস; ওপেনিংয়ে নেমে স্রেফ তুলোধুনো করেছেন বোলারদের। এনামুলও যোগ দিয়েছিলেন তাঁর সাথে; ফলে পাওয়ার প্লেতেই রেকর্ড ৮৭ রান জমা হয় খুলনার বোর্ডে।
তবে বাঁ-হাতি ওপেনারের বিদায়ের পর কিছুটা শঙ্কা জেগে উঠেছিল। কিন্তু সেটা স্থায়ী হতে দেননি আফিফ-এনামুল। তিন নম্বরে নেমে ৩৬ বলে ৪১ রান করেন আফিফ, অন্যদিকে এনামুল পেয়ে যান ফিফটির স্বাদ। ততক্ষণে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল খুলনার।
ডেথ ওভারে শাই হোপের ছোট কিন্তু কার্যকরী ক্যামিওতে কোন বিপদ ছাড়াই আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দলটি। এই উইকেটকিপার করেন ১০ বলে ২৫ রান; আর বিজয় অপরাজিত থাকেন ৬৩ রানে।