দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছিলেন। খানিকটা ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও রানের দেখা পাননি সাকিব, তামিমরা। ফলে প্রথম ইনিংসেই বেশ পিছিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ ছিল দ্বিতীয় দিন সকাল। ম্যাচে ফিরতে হলে এই সকালটা কাজে লাগাতেই হতো বাংলাদেশের পেসারদের।
বাংলাদেশের পেসাররা একেবারে শুরুতেই উইকেট তুলে নিতে পারেননি। তবে প্রথম সেশনে শেষে গিয়ে ঠিকই কাজের কাজটা করেছেন। শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ তিনজই উইকেট তুলে নিয়েছেন। ফলে হঠাতই চার উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপেই পরে ক্যারিবীয়রা। বিশেষ করে খালেদের বোলিং দেখে মনে হচ্ছিল দ্রুতই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেধে ফেলতে পারবে বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশের সেই স্বপ্ন ধুলোয় মিশিয়েছেন কাইল মেয়ার্স । নামটা নিশ্চয়ই আপনার পরিচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুসরণ করলে এই ব্যাটসম্যানের নাম ভুলে যাওয়াটা ভীষণ কঠিন। গতবছর নিজের অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করে বসেছিলেন কাইল মেয়ার্স। তখন থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের পরিচিত নাম ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান।
আজও সেই কাইল মেয়ার্স বাংলাদেশের বোলারদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছেন। লাঞ্চের পর থেকে এই ব্যাটসম্যান যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। বাংলাদেশের বোলারদের বেশ মেরেই তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এবং কাইল মেয়ার্স দুটি সেঞ্চুরিই করলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে।
অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম সেই সেঞ্চুরিটাকে মেয়ার্স অবশ্য ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছিলেন। আর এই টেস্টেও মেয়ার্স সামনে আছে একইরকম সুযোগ। আজন ১৮০ বলে ১২৬ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছেন তিনি। আগামীকাল আবার এখান থেকেই ব্যাট করতে শুরু করবেন তিনি। ঠিক কোথায় গিয়ে থামবেন সেটা সময়ই বলে দিবে।
ওদিকে লাঞ্চের আগে খালেদ, মিরাজ আশা দেখালেও এরপর দুই সেশনে একেবারেই হতাশ করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দুই সেশন মিলে নিতে পেরেছেন মাত্র এক উইকেট। ফলে ৩৪০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইতোমধ্যেই তাঁদের বোর্ডে আছে ১০৬ রানের বিশাল লিডল। কাল সকালেই মেয়ার্স ফেরাতে না পারলে হয়তো এই লিড পাহাড় সমান হয়ে উঠবে। ফলে এখন বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা কাইল মেয়ার্সই।