পঁচা শামুকে পা কাটার অভ্যাস তৈরি হয়েছে বার্সেলোনার। চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখের মত দলকে উড়িয়ে দিয়েছে তাঁরা। তাঁরাই আবার পয়েন্ট খুইয়েছে ওসাসুনা, সেল্টা ভিগোর মত দলের বিপক্ষে। সবশেষ লাস পালমাসের বিপক্ষে হেরে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করলো দলটি।
লা লিগায় কাতালান জায়ান্টরা বোধহয় জিততে ভুলে গিয়েছে, রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে হারের পর থেকেই নিজেদের ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিল তাঁরা। গত তিন ম্যাচে তাঁদের অর্জন মোটে এক পয়েন্ট!
এদিন ম্যাচের শুরুটাই হয়েছিল দুঃসংবাদ দিয়ে, ২৬ মিনিটের সময় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন অ্যালেক্স বালদে। বিরতির ঠিক আগে গোলও করেছিলেন রাফিনহা, কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সেই গোল। মিনিট খানেক পর তো দু’জনকে কাটিয়ে বল জালে জড়ানোর পরিবর্তে গোলবারে মেরে বসেছিলেন তিনি।
একদিকে বার্সা যখন হতাশার জাল বুনে চলছিল, লাস পালমাস তখন কাউন্টার এটাকে সাফল্যের সন্ধান পেয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুর্দান্ত এক গোল করে বসেন সান্দ্রো রামিরেজ, বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ইনাকি পেনাকে পরাস্ত করেন তিনি।
তবে বার্সেলোনার অধিনায়ক রাফিনহা দলকে বেশিক্ষণ পিছিয়ে রাখেননি। রামিরেজের মতই প্রায় একই জায়গা থেকে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। এই নিয়ে চলতি লা লিগায় তাঁর গোল সংখ্যা দাঁড়ালো নয়ে। কিন্তু লাভ কি, মিনিট পাঁচেক পরে আরো একটা কাউন্টার এটাক, আরো একটা গোল! ২-১ গোলে এগিয়ে যায় পালমাস।
বার্সেলোনার আসলে চেষ্টার কমতি ছিল না, প্রায় সত্তর ভাগ বল দখলে রেখে ২২ বার গোলের প্রচেষ্টা নিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু কাউন্টার এটাকে প্রতিপক্ষের অ্যাকুরেসি একটু যেন বেশিই ছিল; তাই তো তিন শটেই দুই গোল আদায় করে ম্যাচটা পকেটে পুরে নিয়েছে লাস পালমাস। এর ফলে পয়েন্ট টেবিলে বার্সার অবস্থা আরো নড়বড়ে হয়ে গেলো, রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে দুই ম্যাচ বেশি খেলা সত্ত্বেও পয়েন্টের ব্যবধান এখন মাত্র চার!