ডমিনিক সোবোসলাইয়ের শট গোলবারে লেগে ফিরে এসেছিল, কডি গ্যাকপো গোলের সুবর্ণ সুযোগ পায়ে ঠেলেছেন। মোহামেদ সালাহও পারেননি কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের জন্ম দিতে – সবমিলিয়ে লিভারপুল আরো একটা ম্যাচ জয় ছাড়া শেষ করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। ঠিক তখন, একেবারে তখনই ‘ডারউইন নুনেজ’ ঘটলো।
কি ঘটলো আসলে? ঘড়ির কাঁটা তখন তো নব্বই মিনিট পেরিয়ে গিয়েছে। রেফারি বোধহয় দৌড়ের গতিও অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন, খানিক বাদেই হয়তো স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে বাঁশিতে তিনবার ফুঁ দিয়ে দিবেন। আর সে সময়ই প্রতিপক্ষের বুকে নিষ্ঠুরতম আঘাত হানেন নুনেজ, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের নিচু হয়ে আসা ক্রস থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
যদিও তাতে তুষ্ট হননি এই স্ট্রাইকার, এক মিনিট পেরুতেই আবারো উদযাপনের উপলক্ষ সৃষ্টি করেন। অবশ্য এবারের গোলটা আরো বেশি সুন্দর, আরো বেশি নিখুঁত। ফেদেরিকো কিয়েসা, হার্ভে ইলিয়ট হয়ে বল আসে তাঁর পায়ে। সেখান থেকে একেবারে ঠান্ডা মাথায় দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন তিনি – ফলাফল, ২-০ গোলে জিতে যায় লিভারপুল।
অথচ তারকাসমৃদ্ধ ফরোয়ার্ড লাইনে শুরুতে জায়গাই পাননি উরুগুইয়ান তারকা। বদলি হিসেবে নেমেছিলেন ৬৫ মিনিটের সময়, তবে এটাই যথেষ্ট হয়েছে ম্যাচের ভাগ্য লেখার জন্য।
তাঁর সাম্প্রতিক ফর্ম অবশ্য ভালো ছিল না, ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে শেষ কবে প্রিমিয়ার লিগে গোল পেয়েছেন সেটা নিজেই নির্ঘাত ভুলতে বসেছেন। পরিসংখ্যানের পাতা উল্টালে দেখা যাবে গত বছরের নভেম্বরের পর লিগে গোলের স্বাদ পাননি তিনি – যেকোনো বিচারে একজন স্ট্রাইকারের জন্য দুঃস্বপ্নের মত একটা ব্যাপার।
যদিও স্বস্তির খবর সেই দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটেছে, নুনেজ গোল পেয়েছেন। সেই সাথে লিভারপুল ফিরেছে জয়ের ধারায়, লিগে পরপর দুই ম্যাচে পয়েন্ট খোয়ানোর পর এবার পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তাঁরা। এখন কেবল এগিয়ে যাওয়ার পালা শিরোপার দিকে।