শূন্য আইপিএল ট্রফি নিয়ে কোহলির আইপিএল অধিনায়কত্ব অধ্যায় শেষ। তার অধিনায়কত্বের যেই সাদামাটা লেভেল বিগ ম্যাচে কিংবা নক আউটে দেখা যায় তিনি সেই লেভেলটাই বজাই রাখলেন তার শেষ ম্যাচেও।
আজকের পিচে স্পিনাররা যথেষ্ট সুবিধা পেয়েছেন। এই পিচে কোহলি ও তার ম্যানেজমেন্ট একজন প্রতিষ্ঠিত স্পিনার নিয়ে নেমেছেন৷ তাদের সাহবাজ আহমেদ আরেকজন স্পিন অলরাউন্ডার। অথচ কোহলি আজকে তাকে বোলিং দেন নি।
সুনীল নারায়ন যখন আসলো তখন তিনি বল তুলে দিলেন ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের কাছে। সুনিল নারায়ন কোনও সার্টিফাইড কোয়ালিফাইড ব্যাটার না। তাকে কার্তিক, মরগান, সাকিবদের আগে পাঠানোর কারন হলো তার হিটিং এবিলিটি কাজে লাগায়ে কিছু রান বের করা। এইটুক বুঝতে রকেট সাইন্স লাগে না।
সুনীল নারায়ন পেসারদের বেশ ভালো খেলেন তার হিটিং অ্যাবিলিটি কাজে লাগান পেসারদের বলে। ঐ মূহূর্তে কোহলি পিচ ব্যবহার করে স্পিনার না এনে ক্রিশচানকে দিলান। এই পিচে পেসাররা তাদের লেন্থ একটু ভুল করলেই পানিশ হয়েছেন। এটা জানার পরও তিনি ক্রিশচানের উপর ভরসা রাখলেন। এইটাই বড় ভুল এটাই বড় টার্নিং পয়েন্ট পুরো ম্যাচের।
কোহলি ব্যাটার হিসাবে যতটা পছন্দ করি, তার অধিনায়কত্ব ততটাই বিরক্তকর লাগে। কোহলি অধিনায়ক হিসাবে বিগ ম্যাচে তার দলকে পুশ করতে পারে না অধিনায়ক হিসাবে, সেটা ভারতীয় দল হোক, আর আরসিবি হোক৷ সে নিজেই অনেকটা নার্ভাস থাকেন। যেটা তার পারফরমেন্সও আসে। আপনি যদি অধিনায়ক ছাড়া কোহলির পারফর্ম্যান্স এবং অধিনায়ক থাককালীন তার পারফরম্যান্সের পার্থক্য আছে।
নিজে নার্ভ ঠিক না থাকলে দলকে কিভাবে পুশ করবেন? ভারত শেষ কয়েক বছর পুরো টুূর্নামেন্ট ফেভারিটের মতো খেলার পর নক আউটে গিয়ে ভেঙে পড়ে। তিনি কখনোই অধিনায়ক হিসাবে নিজেকে কিংবা নিজের দলকে এই জায়গা থেকে বের করতেই পারেন না।
যেই কারনে অধিনায়ক হিসাবে শোকেজ শূন্য। ভারত বিশ্বকাপ ফেভারিট হিসাবে গেলেও, কোহলির অধিনায়কত্বের কল্যানে আগের মতোই চোক করবে নক আউটে।
কোহলির আগামীতেও কিছু জেতার সম্ভবনা কমই দেখি অধিনায়ক হিসাবে। কোহলি চাপে পড়েন, ভুল সিদ্ধান্ত নেন, দলও নার্ভাসনেসের মধ্যেই পড়ে যায়। সম্ভব না কোহলির অধিনায়কত্বে। কোহলি অধিনায়কত্ব অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে ভারতীয় ক্রিকেটে এবং ভারতীয় দলে এটুক আপানাকে স্বীকার করতেই হবে। তবে নেতিবাচক জায়গাটা এত বেশি যে ঐ ইতিবাচক ঐটুকু আপনাকে দিন শেষে খুশি করবে না।
কোহলির অধিনায়কত্ব ছাড়াটা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর জন্য মঙ্গলজনক মনে করি।