উৎসব থেকে ফিরে যাওয়া আমি সেই প্রত্যাখান

রাজধানী বুয়েনস এইরেস থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দূরের রোজারিও শহর। ১০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে এটি আর্জেন্টিনার সান্তাফে প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর। এই শহরেই গড়ে উঠেছে হোর্হে মেসি এবং ভাগ্য অন্বেষণে ইতালি থেকে আর্জেন্টিনায় পাড়ি জমানো এমনই এক পরিবারের মেয়ে সেলিয়ার দাম্পত্য জীবনের গল্প।

রোজারিও থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের একটি ইস্পাত কারখানায় কাজ করেন হোর্হে মেসি। বসে থাকার ফুরসত নেই সেলিয়ার। সংসারের হাল ধরতে সেলিয়া করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ।

২৪ জুন ১৯৮৭। প্রতিদিনের মতো আজকেও রাতের আঁধার পেরিয়ে ভোরের স্নিগ্ধতা ফুটেছে। ঘড়ির কাঁটা ভোর ছয়টা ছুঁই ছুঁই। চারদিকে ভোরের নির্মল পরিবেশ। একটা কোমল স্নিগ্ধ ভোর স্বাগত জানালো সর্বকালের সেরা ফুটবলারকে। রোজারিওর গারিবালদি হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হলেন লিওলেন আন্দ্রেস মেসি কুচ্চিত্তিনি।

হোর্হে মেসি এবং সেলিয়া দম্পতি চেয়েছিলেন দুই ছেলের পর তাদের তৃতীয় সন্তান যেন মেয়ে হয়। কিন্তু ঈশ্বর মনে হয় তাদের সঙ্গে হেঁয়ালি করলেন। নাদুসনুদুস, ফুটফুটে, গোলাপি বর্ণের নবজাতককে দেখে পেছনের সব চাওয়া ভুলে গেলেন মা-বাবা। তাদের আনন্দ দেখে কে!

ফুটবলের সঙ্গে মেসির সখ্যের শুরু মাত্র চার বছর বয়সে। ওই বছর জন্মদিনে মা-বাবার কাছ থেকে লাল ডায়মন্ড যুক্ত একটি সাদা বল উপহার পায় সে। সেই থেকে ওই বলটি নিয়ে সারাক্ষণ মেতে থাকা। তখন থেকেই বলের উপর মেসির নিয়ন্ত্রণ ছিল অবিশ্বাস্য। আজ সেই ছোট্ট মেসি কত বড় তারকা। ফুটবলে সম্ভাব্য প্রায় সব শিরোপা তার পায়ের তলায় লুটোপুটি খাচ্ছে।

মাত্র পাঁচ বছর বয়সে রোজারিও ভিত্তিক ক্লাব গ্রানদোলিতে যাওয়া-আসা শুরু হয় মেসির। কারখানার কাজের ফাঁকে এই ক্লাবেই টুকটাক কোচিং করান বাবা হোর্হে। সেখানেই মেসি দেখা পান ফুটবল জীবনের প্রথম কোচ সালভাদর রিকার্দো অ্যাপারিসিয়োর। তবে প্রথম দিকে বয়সে ছোট হওয়ায় মেসিকে দলে নিতে চাইতেন না কেউই। অবশেষে মা সেলিয়ার পীড়াপীড়িতে দলে জায়গা পান মেসি। শুরু হয় ফুটবলার মেসির আনুষ্ঠানিক পথচলা।

ফুটবল নিয়ে মেসির সবকিছু ঠিকঠাক এগোচ্ছিল।

কিন্তু মা-বাবার কপালে চিন্তার ভাঁজ। নয় বছর পেরিয়ে গেলেও ছেলের শারীরিক উচ্চতা সে অনুপাতে হয়নি। চিকিৎসক জানালেন হরমোনজনিত সমস্যা। দরকার অনেক টাকার। কিন্তু কে দেবে? আজ মেসির পেছনে বিশ্বের বাঘা-বাঘা ক্লাবের কাঁড়িকাঁড়ি টাকার ঝনঝনানি। তখন তো এসবের কিছুই ছিল না।

দুর্দিনে নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাব মেসির চিকিৎসার একটা অংশে বহনে রাজি হয়। কিন্তু ক্লাব কতৃপক্ষের নানারকম টালবাহানায় মেসির মা সেটা নেওয়া বন্ধ করে দেন। ততদিনে বিশ্বের আনাচকানাচে মেসির নাম ছড়িয়ে পড়ে। পত্র পত্রিকার শিরোনাম হচ্ছেন মেসি, লেখালেখি হচ্ছে বিস্তর। বুয়েস এইরস, রিভার প্লট – চারদিকে মেসির নামডাক। সুদূর স্পেনের বার্সেলোনায়ও পোঁছে যায় সে বার্তা।

এদিক ওদিক হয়ে সে বার্তা পোঁছে যায় চার্লস রেক্সাস কাছে। চার্লস রেক্সাস? তখনকার বার্সেলোনার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। যার কাছে মেসির পরিবার আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন। কৃতজ্ঞ থাকবেন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা মেসি ভক্তরা। কৃতজ্ঞ থাকবে ফুটবল। যার হাত ধরে মেসির বার্সার হয়ে স্বপ্নময় যাত্রার শুরু হয়েছিল। ক্লাবের সবার অনুরোধে রেক্সাসের সহমতে সিদ্ধান্ত হয় মেসিকে বার্সেলোনায় আনার।

উদ্দেশ্য কোচরা যাতে পরখ করে নিতে পারেন। মেসি বাবা হোর্হের সাথে বার্সেলোনায় এসে পোঁছালেন। ভ্রমণক্লান্তি কাটানোর সুযোগ নেই। পরদিন ট্রায়াল। ভিন্ন ভিন্ন দিনে দুটো ট্রায়াল দেন মেসি। দুটো ট্রায়ালেই মেসি এতটা বিমোহিত করেছেন যে, এক মুহুর্তের জন্যও মেসিকে ছাড়তে চায়নি ক্লাব কতৃপক্ষ। পাছে কেউ মেসির সাথে চুক্তি করে ফেলে!

তবে সমস্যা দেখা দেয় মেসি বিদেশি হওয়ায় কোন জাতীয় লিগে খেলতে পারবেন না, স্পেনে পাড়ি জমালে মেসির মা-বাবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, মেসির হরমোনজিত চিকিৎসার ব্যয়বহুলতা। এসব হাজারো প্রশ্ন স্বত্তেও মেসিকে দলে ভেড়ানোর বড়সড় একটা ঝুঁকি নিলেন রেক্সাস। নিবেন-ই বা না কেনো!

মেসির ভিডিও ফুটেজ, ট্রায়াল দেখে রীতিমতো মুগ্ধতায় ডুবে থাকেন রেক্সাস। ছোটখাটো গড়নের ছেলেটি। কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যক্তিক্রমী। অসম্ভব রকম আত্মবিশ্বাস। দুরন্ত গতি, ক্ষিপ্রতা, কৌশলের দিক দিয়েও নিখুঁত। বল নিয়ে পড়িমরি করে ছোটার সার্মথ্য আছে। রক্ষণদুর্গে খেলোয়াড়দের ধোঁকা দেয়ার ক্ষমতাও প্রবল। একদিন সবাই মিলে বসলেন একটা রেস্তোরাঁয়। মেসির পরিবার চায় সবকিছুর লিখিত চুক্তির।

অন্যদিকে রেক্সাসও নাছোড়বান্দা। কোনভাবেই হাতছাড়া করতে চান না মেসিকে। তাই হাতের কাছে কোন কিছু না পেয়ে একটা পেপার ন্যাপকিনে চুক্তিটা সেরে ফেলেন। মেসি হয়ে গেলেন বার্সার। কাতালানদের ফুটবল ইতিহাসে সৃষ্টি হতে শুরু করলো নতুন নতুন ইতিহাস। যা এখনো রচিত হচ্ছে, হবে!

ছোট্ট মেসি নাম কামিয়ে বাড়ন্ত হচ্ছেন। একদিন ডাক পড়ে মূল দলে খেলার। প্রথম একাদশে সুযোগ হয় না। অবশেষে বাঁশি বাজে। নামছেন সতের বছরের এক তরুণ। চুলগুলো ঘাড়ে চেপে বসেছে। ম্যাচের বয়স ৮৭ মিনিট। দুই মিনিটেই পেয়ে গেলেন গোল। রেফারির অফসাইডের সংকেতে গোলটি বাতিল হয়। তবে ঈশ্বর খুব বেশী সময় অপেক্ষা করান না ছোট্ট জাদুকরকে।

আবার গোল করেন মেসি। শিষ্যের গোল করা দেখে আটলান্টিকের ওপারে দু’চোখ বেয়ে পানি পড়ছে রির্কাদো’র। মেসির ফুটবল ক্যারিয়ারের প্রথম কোচ। এভাবেই শুরু পরবর্তী অসংখ্য গোলের মহাকাব্য। চারমাস পর অভিষেক ঘটে নীল-সাদা জার্সিতেও। তবে সে ম্যাচটি মেসি ভুলে থাকতে চাইবেন। লাল কার্ডের তিক্ততার অভিষেক কেইবা মনে রাখতে চাইবে!

নীল-সাদা জার্সির হয়ে এই ঘটনাই হয়তো মেসির ক্যারিয়ারের প্রতীকী! একে একে ব্যক্তিগত সব পুরস্কার ধরা দিয়েছে। ক্লাবের ভান্ডারও সমৃদ্ধ করেছেন দলীয় ট্রফিতে। কিন্তু নীল-সাদার আলবিসেলেস্তেদের হয়ে যে শুধুই আক্ষেপে পুড়েছেন। জন্মভূমির জন্য যে বহু প্রতীক্ষার সোনালী আবরণে মোড়ানো ট্রফিখানার দূরত্ব ঘুছিয়ে উঠতে পারেননি আজো।

প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে জার্মান রাজ্যে মেসি।

প্রথম ম্যাচটা সাইড বেঞ্চে এদিক-ওদিক করে কাটিয়ে দিলেন। এই বিশ্বকাপ মেসির জন্য হানিমুনের বলা যায়। আর্জেন্টিনা দলে তখন একরাশ তারকাখনি। এসবের মাঝে মেসি কেবলই ফুটতে উঠার অপেক্ষায় থাকা সুগন্ধি গোলাপ। সেই বিশ্বকাপ হতাশায় শেষ হলো আর্জেন্টাইনদের।

পরেরবার বিশ্বকাপ খেলতে হাজির হোন দক্ষিণ আফ্রিকায়। দলের প্রধান কর্তা ফুটবল ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনা। আশায় বুক বেঁধেছে কোটি কোটি ফুটবল সমর্থক। ততদিনে বার্সার জার্সি গায়ে মেসি হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য। রেকর্ড ভাঙছেন, গড়ছেন নতুন রেকর্ড। তাই আশায় লেগেছে জোর হাওয়া। ম্যারাডোনা মেসি যুগলবন্দীতে বিশ্বকাপ ট্রফি ফিরবে বুয়েনস এইনসে। আশা পূরণ হয় না। আরেকবার খালি হাতে ফিরতে হয় মেসিকে।

চারদিকে মেসিকে নিয়ে দুয়োধ্বনি। স্বদেশ ভূমি থেকে সবচেয়ে বেশী। এরমাঝে বার্সার হয়ে এক মৌসুমে ৯১ গোল করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখান মেসি। কিন্তু তখনো মনের কোণে জন্মভূমির হয়ে একটি বিশ্বকাপের অপূর্ণতা। যেই ট্রফি মেসিকে দিতে পারে অমরত্ব। সেই আশায় লাতিন আমেরিকার আরেক পরাশক্তি ব্রাজিলে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে যান মেসি। একধাপ, দুইধাপ করে পোঁছে যান ফাইনালে।

সোনালী ট্রফিটা নিঃশ্বাস দূরত্বে। আরেকটা ধাপ পেরুলে দেখা পাবেন অমরত্বের। কিন্তু পেশির সাথে শিল্পের লড়াইয়ে আবারো ভেঙে পড়লো আলবিসেলেস্তেরা। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে দেখেন, ট্রফিটা কত কাছে তবু কত দূরে। ছুঁতে চেয়েও ছোঁয়া হয়না! অধিকার করে নিতে না পারার ব্যর্থতায়! একরাশ বেদনা নিয়ে ফেরেন মেসি।

রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বোধহয় মেসির জন্যেই লিখেছিলেন, ‘আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে যাওয়া অভিমান – ভেজা চোখ আমাকে গ্রহণ করো। উৎসব থেকে ফিরে যাওয়া আমি সেই প্রত্যাখান, আমি সেই অনিচ্ছা, নির্বাসন বুকে নেওয়া ঘোলাটে চাঁদ। আমাকে আর কি বেদনা দেখাবে?’

ক্যারিয়ারে দলকে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছেন অসংখ্যবার। কঠিন বৈতরণী পার করেছেন, সেও অসংখ্যবার। পুরস্কারে পুরস্কারে ছেঁয়ে গেছে ট্রফির শোকেসটা। বাঁ পায়ের ফুটবল শৈলীতে বিশ্বকে মোহিত করেছেন, সেও অসংখ্যবার। চারদিকের প্রশংসা বাণী মেসি নামের সাথে মিশেছে, সেও হাজার-লাখোবার। ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন, দলীয় ট্রফির ভান্ডারে ৩৪ সংখ্যা, ৬ টি ব্যালন ডি অর’স, ৬ টি ইউরোপীয়ান গোল্ডেন বুট। এতসব কিছুর পরও মেসি জিততে চান একটি বিশ্বকাপ শিরোপা। সেটাই হবে ক্যারিয়ারের আলোকিত মুহুর্ত।

পরেরবার বিশ্বকাপের মঞ্চ সাজে রাশিয়া। শেষবার যখন ফিরছেন ওই সোনালী আবরণে মোড়ানো ট্রফিখানা ছিল নিঃশ্বাস দূরত্বে। ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সির লিওলেন আন্দ্রেস মেসি সবুজ গালিচায় পায়ের জাদুতে কত হাজারো বার আন্দোলিত করেছেন ফুটবল পিপাসু কোটি দর্শককে। কিন্তু কখনো ছোঁয়া হয়নি ওই পরম আস্বাদিত বিশ্বকাপ ট্রফি নামক অমরত্বখানা।

নিজের চতুর্থ বার- এবার মধ্য-সাগরে ডুবন্ত জাহাজকে একার কাঁধে ছড়িয়ে নিয়ে আসলেন রাশিয়া বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে। এবার কি তবে পূরণ হবে সোনালী ট্রফিখানায় চুমু আঁকার স্বপ্ন? ফুটবল কি পারবে এক অভিমানী রাজার হাতে ওই ট্রফিখানা উঁচিয়ে ধরার দৃশ্যের অবলোকন করতে? – এসব প্রশ্নের জবাব দিতে পারলেন না মেসি, পারলো না আর্জেন্টিনা।

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পথ চলতে চলতে কোয়ার্টার ফাইনাল উঠে আসে আলবিসেলেস্তেরা। সামনে এবার আটলান্টিক মহাসাগর, ভূমধ্যসাগর, আল্পস পর্বতমালা বেষ্টিত ফ্রান্স। ক্ষণে ক্ষণে ঘুরতে থাকলো ম্যাচের চাকা। জাদুকর ছিলেন- কখনোবা নিষ্প্রভ সঞ্চালনে কখনোবা তারছেঁড়া দুদান্ত কোন পাসে কখনোবা ঠায় দাঁড়িয়ে নিজের সাথে নিজের স্বপ্ন মিইয়ে যাওয়ার কোন কল্পনায়। এরমধ্যে ক্ষণে ক্ষণে দুক্ষণে এসেছিল সেক্ষণ। যে সময়টাতে মনে হয়েছিল উড়তে থাকা ফ্রান্স বাঁধা পেরিয়ে আরেকটা-পা সামনে এগিয়ে যাবেন মেসিরা!

কিন্তু তারুণ্যে বেঁধ করে এগিয়ে যাওয়া হয় না লীল সাদা’দের। সোনালী ট্রফিখানার মিলনমেলায় এবারও মিলিত হওয়ার সুযোগ হয় না ফুটবল জাদুকরের। এবার আকোনকাগুয়া পর্বত শৃঙ্গের জাহাজ আটকা পড়ে ফ্রান্স মহাসাগরে। আবারও শূন্যে হাতে বিদায় ফুটবলের মহারাজার। সোনালী ট্রফিটা দূরত্বেই থেকে যায়! তবে এবার জাদুকর কাঁদলেন না- ভেজা চোখ লুকোতে জার্সির আবরণের সাহায্য নিলেন না। অভিমানের মেঘ জমতে জমতে বোধহয় এমনি-ই হয়!

মধ্য আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরের লিওনেল আন্দ্রেস মেসি নামের সেই ছোট্ট ছেলেটি ততদিনে ৩১ বছরে পা রেখেছেন। তাইতো আরেকটা আশা মনে উঁকি দিয়ে বলেছে, ‘এই দেখাই শেষ দেখা নয়, আবার দেখা হবে নিশ্চয়!’

গোল করার আর করানোর এক অপরূপ মহিমা নিয়ে এসেছিলেন সেই ছোট্ট থেকে। তাই সেদিনের ছোট্ট ছেলেটি আজকে তেত্রিশতম জন্মদিনে দাঁড়িয়ে ৭০০ গোলের অনন্য এক মাইলফলকের সামনে। সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোয়ও পিছিয়ে নেই মেসি। সতীর্থদের সম্মুখে বল বাড়িয়ে গোল করিয়ে নিয়েছেন ২৯২ বার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link