লিওনেল মেসি নাকি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ? চলতি ফুটবল দুনিয়ায় এই প্রশ্ন আর সম্ভবত বিতর্কের ঝড় তোলে না। ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের শীর্ষ-পাতার ওপরের নামটা বছর দু’য়েক হলে দখল করে নিয়েছেন মেসি।
‘জিওএটি’ বা সর্বকালের সেরা’র আলোচনায় তাই রোনালদোকে নিয়ে আর দিস্তার পর দিস্তা কাগজ খরচ করেন না কেউ। তবে, আগুন একবার লেগেই গেছে, তাঁর উত্তাপটা না হলেও আগুনে পোড়া গন্ধটা তো টিকে থাকে বহুকাল।
সেটা মেসি-রোনালদোর বিতর্কেও থাকছে। আর সেই বিতর্কের ফিকে হয়ে আসা আগুনে যদি আলত করে একটু ঘি ঢেলে দেন খোদ পেপ গার্দিওলা তাহলে তো আর কথাই নেই। তিনিও এক বাক্যে স্বীকার করে নিলেন মেসি’র শ্রেষ্ঠত্ব, বরাবরের মতই। আর রোনালদোকেও তিনি কম সমীহ করছেন না।
ব্যালন ডি’অরের রাতে তিনি বলেন, ‘মেসিকে কেউ কখনও হারাতে পারেনি। সেটা কিছুটা পেরেছিল ক্রিশ্চিয়ানো। ক্রিশ্চিয়ানো একজন দানব। আর সেই দানবের বাবা হলেন মেসি। আর বলাই বাহুল্য, দু’জনেই শেষ ১৫ কি ২০ বছরে ছিলেন অতিমানবীয়। ওই সময়টা এমন ছিল যে, জাভি আর ইনিয়েস্তাও ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবিদার ছিলেন।’
মেসি ও রোনালদোকে বিতর্ক ছাপিয়ে সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলাই যায়। একই সময়ে এত ক্যারিশমাটিক দু’জনের অনবদ্য দ্বৈরথ আগে পড়ে আর দেখাই যায়নি বললেই চলে। ক্লাব ফুটবল ও জাতীয় দল মিলিয়ে দু’জন ১৭০০ গোল করেছেন। আর এই সংখ্যাটা দুই হাজারে গিয়ে ঠেকলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। ক্যারিয়ারের শেষ বেলাতেও দু’জনে সমান তালে গোল করে ও গোল করিয়ে যাচ্ছেন।
রোনালদো ২০০৮ সালে প্রথম ব্যালন ডি’অর পান। এরপর টানা চারবার এই পুরস্কার জিতে নেন লিওনেল মেসি। এরপর রোনালদো ২০১৩ ও ২০১৪ সালে টানা দুই বার জিতেন। মেসি তাঁর পঞ্চম ব্যালন ডি’অর জিতেন ২০১৫ সালে।
এরপর লিওনেল মেসি আরও তিনবার জেতেন এই পুরস্কার – ২০১৯, ২০২১ ও ২০২৩ সালে। আর এর মধ্যে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ও টানা দু’টি কোপা আমেরিকা জিতে নিজেকে অমরত্বের পথে নিয়ে যান মেসি। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে পিছিয়ে যান রোনালদো।