দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায় – লিভারপুল কেবল জিতে, বড়জোর ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। কিভাবে হারতে হয় সেটাই বোধহয় ভুলতে বসেছিলেন তাঁরা। তবে ভুলতে বসা ব্যাপারটা মনে করিয়ে দিলো টটেনহ্যাম, ইএফএল কাপের সেমিফাইনালে অলরেডদের হারিয়ে দিলো তাঁরা।
এর আগে গত ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সর্বশেষ পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিল আর্নে স্লটের শিষ্যরা। এরপর তিন মাসের বেশি সময় ধরে ২৪ ম্যাচ খেলেছে দলটা, জিতেছে ১৮ ম্যাচ, এবং বাকি ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়েছে জয়-পরাজয় ছাড়াই। তবে আরো একবার সেই তিক্ত স্বাদ পেলো তাঁরা, এ নিয়ে শেষ বিশ ম্যাচে দ্বিতীয় হার তাঁদের।
এদিন অবশ্য ভাগ্য সহায় হয়নি অ্যানফিল্ডবাসীর, প্রায় পূর্ণ শক্তির দল নিয়েও টটেনহ্যামকে হারাতে পারলো না। ম্যাচের একেবার শেষভাগে হৃদয় ভঙ্গের কারণ হয়ে উঠেন লুকাস ভার্জবেল, ডমিনিক সোলাঙ্কের অ্যাসিস্ট থেকে সে যাত্রায় দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেটাই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিয়েছে দু’দলের।
লিভারপুল গোল করতে পারেনি সেজন্য ভাববেন না দ্বিতীয় সারির দল খেলেছে। রক্ষণভাগে তিনজনকে বিশ্রাম দেয়ার হিসেব বাদ দিলে পূর্ণশক্তির দল নিয়েই মাঠে নেমেছিল তাঁরা। কিন্তু মোহামেদ সালাহ কিংবা কডি গ্যাকপো কেউই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করার মত কিছু করতে পারেননি।
পারবেন-ই বা কিভাবে, স্পার্স গোলরক্ষক অ্যান্টনিন কিনস্কি এতটাই দুর্ধর্ষ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন যে বল তো দূরে থাক একটা মাছিও তাঁকে ফাঁকি দিতে পারবে না। অবাক করার মত বিষয় যে, এটিই তাঁর অভিষেক ম্যাচ। অথচ পারফরম্যান্স দেখে মনে হবে কতশত বছরের অভিজ্ঞতা তাঁর ঝুলিতে।
এখনই অবশ্য আশাহত হওয়ার মানে হয় না, ঘরের মাঠে সেকেন্ড লেগে হয়তো ঘুরে দাঁড়াবে লিভারপুল। তাছাড়া সেকেন্ড লেগ তো অ্যানফিল্ডে; প্রত্যাবর্তনের গল্প হয়তো সেখানেই লেখা হবে, সেজন্য না হয় আগ্রহ সব জমা থাকুক।