বুড়ো রুনিও গোল করেন, আক্ষেপ বাড়ান

ম্যাচটা শেষ হয় ১-১ গোলে ড্র হয়ে। যদিও, ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে সাবেকদের মাঠে দেখতে পারাটাই বড় প্রাপ্তি। আর সেই প্রাপ্তিযোগে যোগ হল রুনির গোল।

ঐতিহাসিক লাল জার্সিটা শরীরে চাপালেন তিনি। কেবলই ক্ষণিকের জন্য। বয়স ৩৮। চামড়ায় কিছুটা ভাঁজ পড়েছে। শরীর মুটিয়ে গেছে।

এই সময়ে তিনি নামলেন, খেললেন। চিরচেনা সেই ওল্ড ট্রাফোর্ডে। গোলও করলেন। তাও ট্রেডমার্ক সেই ফ্রি-কিক থেকে। বিশ্ব অবাক তাকিয়ে দেখল, ওয়েন রুনি ফুটবল খেলাটা ভুলে যাননি।

একই সাথে একটা আক্ষেপও উঁকি দিল রেড ডেভিল সমর্থকদের মনে। গেল দুই বছরে এই জার্সিতে যে আর কেউই ফ্রি কিক থেকে গোল করতে পারেননি। তাহলে কি, এই দলে ফরোয়ার্ডরা এই বুড়িয়ে যাওয়া, আনফিট রুনির চেয়েও পিছিয়ে?

স্রেফ একটা চ্যারিটি ম্যাচ। সেল্টিকের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামলেন তিনি। ফ্রি-কিক থেকে গোল করে ডেড লক ভাঙলেন। ধারাভাষ্য থেকে কে যেন বলে উঠলেন, ‘ওয়েন রুনি স্টিল হ্যাভ ইট!’

কে বলবে অধুনা কোচ বনে যাওয়া রুনি ফুটবলের বুট তুলে রেখেছেন আরও বছর তিনেক আগেই। স্রেফ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইউনাইটেড কিংবদন্তিদের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। সেখানে পর স্কোলস, ড্যারেন ফ্লেচচার, মাইকেল ক্যারিক, দিমিত্র বার্বাতোভরাও ছিলেন।

ম্যাচটা শেষ হয় ১-১ গোলে ড্র হয়ে। যদিও, ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে সাবেকদের মাঠে দেখতে পারাটাই বড় প্রাপ্তি। আর সেই প্রাপ্তিযোগে যোগ হল রুনির গোল।

Share via
Copy link