চিরচেনা ম্যানচেস্টার সিটির দেখা অবশেষে পাওয়া গেলো; হারতে হারতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর অবশেষে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পেলো তাঁরা। লেস্টার সিটিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস খানিকটা ফিরে পেয়েছিল দলটি, আর এবার সেই আত্মবিশ্বাসের দাপটে উড়ে গেলো ওয়েস্ট হ্যাম।
ম্যানসিটি প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করেছে এমন খবর শুনলে শিরোনাম কে হবেন সেটা আন্দাজ করা মোটেও কঠিন কিছু নয়৷ সত্যি বলতে, তাঁদের গোলের উৎস তো ওই একজনই – আর্লিং হাল্যান্ড। ওয়েস্ট হ্যামকে ৪-১ গোলে হারানোর ম্যাচে তাঁর পা থেকে এসেছে জোড়া গোল।
অবশ্য তাঁকে টপকে ম্যাচসেরা হওয়ার দাবিদার স্যাভিনহো। গোল করেননি কিন্তু ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণের কাজটা করেছেন তিনি। শুরুর তিন গোলের পিছনেই ছিল তাঁর অবদান, এছাড়া ড্রিবলিং আর গতির ছন্দে যেভাবে নাচিয়ে ছেড়েছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে সেটা মুগ্ধ করবে নিন্দুককেও।
লেফট উইংয়ে স্যাভিনহো নিজের মার্কারকে পিছনে ফেলে দারুণ একটা ক্রস দিয়েছিলেন এই নরওয়েজিয়ানের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে গোল করাটা তাঁর জন্য আসলে বাঁ-হাতের খেল। পরের গোলও এসেছে প্রায় একইভাবে, স্যাভিনহোর দুর্ধর্ষ এক ডিফেন্স চেরা পাস থেকে দ্বিতীয়বারের মত জালের ঠিকানা খুঁজে নেন হাল্যান্ড।
এর আগে ব্রাজিলিয়ান তরুণের শট থেকেই এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানসিটি। স্কোরবোর্ডে আত্মঘাতী গোল লেখা উঠেছে ঠিকই, তবে তিনি যা যা করেছেন গোলের জন্য তাতে গোলটা তাঁরই প্রাপ্য। কফিনে শেষ পেরেক অবশ্য ঠুকেছেন ফিল ফোডেন, কেভিন ডি ব্রুইনার অ্যাসিস্ট থেকে চলতি প্রিমিয়ার লিগে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন তিনি।
ব্যাক টু ব্যাক উইন – পেপ গার্দিওলা এখন চাইলে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতেই পারেন। শিরোপার লড়াই থেকে পিছিয়ে গেলেও তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন সেটা নি:সন্দেহে সমর্থকদের দুশ্চিন্তাও দূর করবে। এখন কেবল ধারা ধরে রাখার পালা, তবেই পুরনো দাপট ফিরে আসবে ম্যানসিটির।