লেস্টার সিটি আর ওয়েস্ট হ্যামকে হারানোর পর ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ড্র করে বসেছিল ম্যানচেস্টার সিটি, তাই শঙ্কা জেগেছিল পুরনো দুঃস্বপ্ন আবার হয়তো ফিরে আসবে। তবে ফিল ফোডেন সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন এক ঝটকায়, ইপ্সউইচকে বিধস্ত করে বুঝিয়ে দিলেন ম্যানচেস্টার সিটি ইজ সো ব্যাক।
পোর্টম্যান রোডে নিজের প্রথম গোল পেতে ফোডেনের এদিন সময় লেগেছে ২৭ মিনিট। কেভিন ডি ব্রুইনার ক্রস থেকে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। সেটার ১৮০ সেকেন্ড না পেরুতেই আবার স্কোরবোর্ডে নাম উঠে তাঁর, এবার অ্যাসিস্ট করতে দেখা যায় তাঁকে।
এই তরুণের অ্যাসিস্ট থেকে দলের লিড দ্বিগুণ করেছিলেন মাতেও কোভাচিচ। তবে সেটা দমিয়ে রাখতে পারেনি তাঁকে, বিরতিতে যাওয়ার খানিক আগে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করেন তিনি – তিন গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ম্যানসিটি।
যদিও সিটিজেনরা খেলার গতি এতটুকুও কমায়নি, উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একক দক্ষতায় গোল পেয়ে যান জেরেমি ডকু। লেফট উইংয়ে দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁকানো শট, খানিকটা সৌভাগ্যের সুবাদে নিয়ে সেই শট আশ্রয় নেয় জালে। অবশ্য ভাগ্য এদিন ডকুকে সাহায্য করতে বাধ্য ছিল, ম্যাচের শুরু থেকেই ইপ্সউইচের ফুলব্যাকদের ঘুম হারাম করে দিয়েছিলেন তিনি।
প্রথমার্ধের তিন গোলেই কোন না কোনভাবে অবদান আছে তাঁর। শুধু কি তাই, এরপর আর্লিং হাল্যান্ডের গোলেও অ্যাসিস্ট করেছেন এই তারকা।
ডি ব্রুইনা, ফোডেন আর ডকু – তিনজনই এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট দুটোর স্বাদ পেয়েছেন। তাতেই ঘুরে দাঁড়ানোর অভ্যাস গড়ো উঠছে ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও ইপ্সউইচের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়োজনই পড়েনি, একটানা গোল দিয়ে হাফ ডজন গোল পূর্ণ করেছিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
মজার ব্যাপার, তাঁরা জিতেছেও একই ব্যবধানে, অর্থাৎ ফরোয়ার্ডদের পাশাপাশি রক্ষণ ভাগের ফুটবলাররাও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে। এখন কেবল ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা, তা নাহলে কপালে দুঃখ আছে।