চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা তিন ম্যাচে ক্লিনশিট, ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা সময়টাই বোধহয় পার করছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ৷ বোর্নমাউথের বিপক্ষেও আরো একবার ক্লিনশিট অর্জনের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন তিনি, নির্ধারিত নব্বই মিনিট কাটিয়ে দিয়েছেন কোন গোল হজম করা ছাড়াই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভাগ্য সহায় হয়নি। ৯৬ মিনিটে ইভানিলসন গোল করে তাঁর হৃদয় ভেঙ্গে দেন।
সেই সাথে হৃদয় ভাঙ্গে অ্যাস্টন ভিলার সমর্থকদেরও, নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হয়েছে ইভানিলসনের কারণেই। ১-০ গোলে এগিয়ে যখন রেফারির শেষ বাঁশির অপেক্ষায় ছিল তাঁরা তখনি জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। বাম পাশ থেকে উড়ে আসা সেটপিসে মাথা ছুঁয়ে দলকে এনে দেন মূল্যবান এক পয়েন্ট।
চলতি প্রিমিয়ার লিগে অবশ্য এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল, অক্টোবরের প্রথমদিনে গোল করার পর দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবারো স্কোরবোর্ডে নিজের নাম তুললেন তিনি।
যদিও ম্যাচের নায়ক হিসেবে বলতে হয় মার্ক ট্র্যাভার্সের নাম। তিনি একা হাতে আটকে রেখেছিলেন অ্যাস্টন ভিলার ফরোয়ার্ডদের, একের পর এক শট উড়ে এসেছে তাঁর দিকে আর তিনি সেগুলো ঠেকিয়ে দিয়েছেন গ্লাভসের দৃঢ়তায়। ওয়াটকিনস, রামসিরা হয়তো দুঃস্বপ্নেও এমন কিছু ভাবেনি। এমন অবিশ্বাস্য গোলকিপিং না করলে কোনভাবেই পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারতো না তাঁর দল।
সবমিলিয়ে আটটা শট মোকাবিলা করেছেন এই আইরিশ গোলরক্ষক, এর মধ্যে একবার বল তাঁকে ফাঁকি দিতে পারলেও বাকি সাতবারই তিনি চীনের মহা প্রাচীরের মত প্রতিরোধ করেছেন। এর মধ্যে চারবার ডাইভিং সেভ দিয়েছেন, পাঁচবার ডি বক্সের ভিতর থেকে আসা শট সেভ দিয়েছেন।
প্রত্যাশিত জয় না পেলেও উনাই এমেরির শিষ্যরা উঠে এসেছে টেবিলের তিন নম্বরে। লিভারপুলের বিপক্ষে আর্সেনাল পয়েন্ট না পেলে এটাই হবে তাঁদের আপাত অবস্থান। অন্যদিকে, বোর্নমাউথ জায়গা করে নিয়েছে সেরা দশে।