দুই মাস আগে এসপিসি গ্রুপ নামক এক প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছা দূত হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু তিন দিন আগে হঠাৎ চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেন মাশরাফি। কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন এসপিসি গ্রুপ তাদের ব্যবসার ধরণ সম্পর্কে ভুল বুঝিয়েছিল তাঁকে।
মূলত এমএলএম পদ্ধতিতে ব্যবসা পরিচালনা করছে এসপিসি গ্রুপ। মাশরাফিকে নিজেদের শুভেচ্ছা দূত দেখিয়ে মাশরাফির করা ভিডিও বিজ্ঞাপন প্রচার করতো প্রতিষ্ঠানটি। আর মাশরাফি এটার সাথে সম্পৃক্ত দেখে যাচাই বাছাই না করেই এখানে বিনিয়োগ করেন লাখ লাখ মানুষ।
তাই মাশরাফি নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর সমালোচনা শুরু হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করলে এর দায়ভার কে নেবে? মাশরাফি কেন যাচাই বাছাই না করে তাদের শুভেচ্ছা দ্রুত হলো? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাশরাফিকে অনেকেই অনুরোধ করেছিলেন এটার সমাধান করে দিতে।
অবশেষে ঘটনার তিন দিন পর এসপিসি গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে চাইলেই বিনিয়োগকারী তাঁদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারবেন ও কোন প্রাপ্য থাকলে সেটা তুলে নিতে পারবেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে মাশরাফিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, পোস্ট ও প্রচারণা বন্ধ করতে।
এক বিবৃতিতে তাঁরা বলে, ‘বিগত এক এপ্রিল ২০২১ ইং থেকে ১৫ মে ২০২১ ইং পর্যন্ত জনাব মাশরাফি বিন মুর্তজা এসপিসি গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর থাকা অবস্থায় যারা অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তাঁরা চাইলে এক মাসের মধ্যে তাদের একাউন্ট ক্লোজ করতে পারবেন। যদি তাদের কোন প্রাপ্য থাকে তাহলে তারা তাদের সম্পূর্ন প্রাপ্য ফেরত পাবে (যদি কেউ চায়)। সাবেক জাতীয় দলে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সাথে এসপিসি গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের চুক্তি বাতিল করা হবে। জনাব মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, পোস্ট ও প্ররোচনা থেকে অনুগ্রহপূর্বক বিরত থাকবে।’
এর আগে গত এক জুন মাশরাফি তার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘গত এপ্রিলে আমি ‘SPC GROUP’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে আমার চুক্তি ছিল, শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রচারে আমার ছবি ও ধারণকৃত ভিডিও ব্যবহার করতে পারবে। বিনিময়ে তারা নড়াইলে ১০০টি উন্নতমানের সিসিটিভি স্থাপনসহ সামাজিক উন্নয়নের কাজ করবে। কিন্তু সম্প্রতি আমি জানতে পেরেছি, তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যে ধারনা আমাকে দেওয়া হয়েছিল, তাদের ব্যবসার ধরন তা নয়। দুই বছরের চুক্তি থাকলেও দুই মাসের মধ্যেই তাদের সম্পর্কে জানার পরই আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যেই আমি তাদেরকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি, আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি শেষ করার আইনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আমার নাম বা ছবি দেখে বিভ্রান্ত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে না জড়াতে।’