মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বসতে চলেছে বিশ্ব আসর। ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তেজনার পারদ থাকে আকাশচুম্বী। তবে এবার উত্তেজনার সাথে উৎকণ্ঠাও যুক্ত হয়েছে। কাতারের মত বৈরি পরিবেশে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আগে থেকেই তর্ক ছিল বেশ। তবে নতুন করে জন্ম নিয়েছে ম্যাচ ফিক্সিং বিতর্ক।
এই তো রাত পোহালেই দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের মহাযজ্ঞ শুরু হয়ে যাবে। তবে এর আগেই হুট করেই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মত জঘন্য এক গুঞ্জনে সরব হয়ে উঠেছে বিশ্ব ফুটবল। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের বিপক্ষে স্বাগতিক কাতারের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের বিশ্বকাপ। আর সেই ম্যাচকে ঘিরেই দানা বেধেছে ফিক্সিং বিতর্ক। আর সেটার সূত্রপাত ঘটান ব্রিটিশ সেন্টারের মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের প্রধান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমজাদ তাহা।
তিনি এক টুইট বার্তায় এই খবরটি প্রকাশ করেন। ইকুয়েডরের আটজন খেলোয়াড়কে দেওয়া হয়েছে ঘুষ। এমনটাই জানিয়েছেন আমজাদ তাহা। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কাতার। এবারের বিশ্বকাপ আয়োজনে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ খরচ করেছে। এই দেশটিই এবার নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রা স্মরণীয় করে রাখতে অনৈতিক পন্থা বেছে নিয়েছে। প্রায় ৭.৪ মিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
টুইটারে এমন তথ্যই জানিয়েছেন আমজাদ। ম্যাচের ব্যবধান ১-০ হবে তেমনটাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সেই ম্যাচ নির্ধারণী গোলটি হবে কাতারের পক্ষে। তিনি আরও জানিয়েছেন ইকুয়েডর ও কাতারের বিশ্বস্ত পাঁচটি সূত্র থেকে একই ধরণের তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ থেকে অন্তত আন্দাজ করে নেওয়া যায় ম্যাচ ফিক্সিং বিষয়টি একেবারেই ফেলে দেওয়ার মত নয়।
কাতার বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্কের শেষ নেই। এমনকি ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটারকে উপঢৌকন দেওয়ারও সত্যতা মিলেছে। এছাড়া অধিবাসী শ্রমিকদের মৃত্যুতে বেশকিছু মানবাধিকার সংগঠন কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের বিপক্ষে। তাছাড়া নানা নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপের অধিকাংশ সমর্থক গোষ্ঠী বিশ্বকাপকে বয়কট করেছে।
এতসব বিতর্কের মাঝে নতুন এই বিতর্ক স্রেফ কাতার বিশ্বকাপকে আরও কলঙ্কিতই করবে। বিশ্বকাপ আয়োজন ছাড়াও বিশ্বকাপের মঞ্চে এটাই কাতারের প্রথম অংশগ্রহণ। এমন পরিস্থিতিতে কাতার নিশ্চয়ই চাইবে না তাদের সকল আয়োজন ভেস্তে যাক। তবে ফিক্সিংয়ের মেলে ধরা ডালপালা অন্তত ছেটে ফেলতেই হবে আয়োজকদের।