বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বাড়বে ম্যাচ

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সাথে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। দুটি সিরিজের সূচিও প্রায় চূড়ান্ত ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সাথে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। দুটি সিরিজের সূচিও প্রায় চূড়ান্ত ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

ম্যাচ বাড়ানোর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। তিনি জানিয়েছেন বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের যথেষ্ঠ প্রস্তুতির সুযোগ করে দিতেই ম্যাচ বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন তাঁরা।

তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমাদের যে তিনটা ম্যাচ ছিল, আমরা পাঁচটা ম্যাচ করেছি। তারা রাজি হয়েছে। আট থেকে নয় দিনের ভিতর পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যতটা ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায় সেই চেষ্টা করছি।’

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ভারতের করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়াতে বিশ্বকাপ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা। ভারতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আকরাম খান জানিয়েছেন বিশ্বকাপ কোথায় হবে এটা নিয়ে না ভেবে প্রস্তুতি নিয়েই শুথু ভাবছেন তারা।

আকরাম বলেন, ‘এটা তো ভারতের উপর নির্ভর করছে, ওরা কি করতে চাচ্ছে। ভারত পারবে কি না। না হলে শোনা যাচ্ছে দুবাইতে হতে পারে। আমরা এসব নিয়ে না ভেবে প্রস্তুতি অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি।’

আগের সূচি অনুযায়ী আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসতো নিউজিল্যান্ড। এবং ঐ সিরিজ শেষে পরের মাসে অস্ট্রেলিয়ার আসার কথা ছিল। পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী জুলাইয়ের শেষের দিকে অথবা আগস্টের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ খেলে যাওয়ার পর পরের মাসে আসবে নিউজিল্যান্ড।

একই সময় বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ইংল্যন্ডেরও। আর ঐ সময় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে সাথে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল বিসিবি। তবে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে বোর্ড।

বাংলাদেশেও করোনা পরিস্থিতি এখন বেশ উদ্বেগজনক। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এই দুটি সিরিজ নিয়ে অনিশ্চিয়তা থেকেই যাবে। প্রশ্ন উঠেছে চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজের জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে। আকরাম খান আগেই জানিয়েছিলেন সিরিজ আয়োজন করতে প্রস্তুত থাকবেন তাঁরা। বাকিটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর।

বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খুব একটা দেখা যায়না। ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে তিনটি ওয়ানডে খেলে যাওয়ার পর ২০১৭ সালে আবার দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলো অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ ড্র করেছিল বাংলাদেশ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...