এই বড় বড় ঝাঁকড়া চুল দেখে আপনার তাঁকে ক্রিকেটার নয় বরং ডিজে বলেই মনে হতে পারে। আপনার এই মনে হওয়া অবশ্য খুব একটা ভুল কিছু না। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এই ক্রিকেটার ভালো ব্যাটার হওয়ার পাশাপাশি বেশ ভালো ডিজেও। এমনকি শোনা যায়, যেখানে ক্রিকেট খেলতে যান, সেখানেও নিজের সরঞ্জাম নিয়ে যান ম্যাক্স ও ডাউড।
নেদারল্যান্ডসের এই ওপেনার এবারই প্রথম খেলতে এসেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়া লিগে (বিপিএল)। চট্টগ্রামের হয়ে নিজের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটা একেবারে মন্দ যাচ্ছে না এই ক্রিকেটারের। তবে ম্যাক্স ও ডাউড তাঁর চুল বড় করেছেন তাঁর প্রেমিকার কথায়। প্রেমিকার দাবি, এভাবেই নাকি তাঁকে বেশি মানায়।
তাঁর সাথে ডিজের সরঞ্জাম সব সময় থাকলেও বাংলাদেশে সেটা নিয়ে আসতে পারেননি তিনি। তবে চট্টগ্রাম বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হলে তিনি হতে চান পার্টির ডিজে। সে যাই হোক, এবার মাঠের ক্রিক্রেটে ফেরা যাক।
নেটে যাকে অনুশীলন করতে দেখছেন অর্থাৎ ম্যাক্স ও ডাউড নেদারল্যান্ডসের পরিচিত ওপেনার। দেশটির একমাত্র টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিয়ানও তিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এবারই প্রথম খেলতে এসেছেন এই ব্যাটার।
বিপিএলে খেলতে এসে শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছিল ম্যাক্স ও ডাউডের। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে প্রথম ম্যাচেই করেছিলেন অর্ধশতক। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৫৮ রানের ইনিংস।
তবে এরপর আর এই বিপিএলে কোন অর্ধশতকের দেখা পাননি এই ব্যাটার। ওদিকে, তাঁর দল চট্টগ্রামও খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে আছে দলটা। নয় ম্যাচ খেলে তাঁরা পেয়েছে মাত্র দুই জয়।
ফলে চট্টগ্রামের এখন প্লে অফ খেলাটাই বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। ওদিকে ম্যাক্স ও ডাউড টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে এসে ভুগছেন অফ ফর্মে। ফলে ডাচ এই ব্যাটার নিজে ও দল কেউই খুব একটা ভালো ফর্মে নেই।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে এই ব্যাটার খেলেছেন ২০ টি ওয়ানডে ও ৫০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৩৩ রানের সর্বোচ্চ ইনিংসও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এছাড়া ওয়ানডে ফরম্যাটেও তাঁর ঝুলিতে আছে ৭ টি অর্ধশতক। তবে ও ডাউডের সেই ছন্দ দেখা যাচ্ছে না বিপিএলে।
তবে ঢাকায় বিপিএলের শেষ পর্বে আবার ঘুড়ে দাড়াতে চায় তাঁরা। মিরপুরে দলটি আজ শুরু করে দিয়েছে অনুশীলন। আর নেটে ম্যাক্স ও ডাউডকেও করতে দেখা যায় পাওয়ার হিটিং। বিপিএলের শেষ ভাগে তাঁরা আবার ফিরে আসতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।