সর্বশেষ ম্যাচগুলোর পরিসংখ্যানই বলছে, লিওনেল মেসি আর আগের মত জ্বলে উঠতে পারছেন না। তিনি নিজের সেরাটা দিতে নিয়মিত ব্যর্থ হচ্ছেন। বয়সের সংখ্যাটাও যে ৩৭ এর ঘরে পৌছিয়েছে। সেটাও একটা মূখ্য কারণ হতে পারে। তবে মেসি মাঠে থাকলেই যেন আর্জেন্টিনা পায় বাড়তি শক্তি।
সামনে ইকুয়েডর গোলরক্ষক আলেকজেন্ডার ডমিনগুয়েজ, টাইব্রেকারে পেনাল্টি নিতে প্রস্তুত আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে তিনি বল পাঠালেন একদম সোজাসুজি। ডমিনগুয়েজ বোকা বনে গেলেও, মেসির সেই বল আঘাত করে গোলবারে।
টাইব্রেকারের প্রথম সুযোগেই মিস করে বসেন মেসি। যদিও আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের কল্যাণে সেই টাইব্রেকার জিতে যায় আকাশী-নীলরা। আর এই জয়েই কোপা আমেরিকার এবারের আসরের সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনা, যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ কানাডা।
তবে মেসির এই পেনাল্টি মিস, স্মরণ করায় অতীতের বিভিষীকাময় স্মৃতি। একটা সময় ছিল যখন মেসি হারাতেন সহজ পেনাল্টির সুযোগ। আর আর্জেন্টিনাকে বড় বড় টুর্নামেন্টের দ্বার প্রান্তে গিয়েও ফিরে আসতো খালি হাতে। একের একের পর হতাশায় নিমজ্জিত ছিল আলবে সেলেস্তেরা।
সেই আর্জেন্টিনা ঘুরে দাঁড়িয়েছে; সেই সাথে লিওনেল মেসিও। একে একে ধরা দিয়েছে বিশ্বকাপ, ফিনালেসিমা, কোপা আমেরিকার শিরোপা। যদিও কোপা আমেরিকার এবারের আসরে মেসি যেন খানিকটা আড়ালেই আছেন। সকল আকর্ষণ যেন কেড়ে নিয়েছে লাউতারো মার্টিনেজ আর হুলিয়ান আলভারেজরা। এপর্যন্ত গোলের খাতায় নিজের নাম তুলতে পারেননি আর্জেন্টাইন এই জীবন্ত কিংবদন্তী।
এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা; তবে ছিল না মেসির কোনো আহামরি অবদান। যদিও কানাডার বিপক্ষে একটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন। তারপর চিলির বিপক্ষে মাঠে নামলেও, পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটি মিস করেছিলেন তিনি। এই আসরে তিনি মিস করেছেন দুইটি সহজ সুযোগ, অবশ্য সাতটি বড় সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন।
দলে মেসির উপস্থিতি মানেই বাড়তি শক্তি। সময় এবং সুযোগ বুঝে তাঁর ছোট্ট একটা পাস কিংবা ড্রিবলিং ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। সেই উদাহরণের সর্বশেষ সংযুক্তি কোপা আমেরিকার এবারের আসর। তবে মেসির কাছে ভক্তদের প্রত্যাশা আরো বেশি। আগামী ম্যাচে নিশ্চয়ই তা পূরণের চেষ্টা করবেন তিনি।