চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ – সকাল থেকেই এরকম একটা খবরে কেঁপে উঠলো বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হঠাৎ করে অধিনায়কত্ব বদলের জের ধরেই নাকি অভিমানী মিরাজ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শোনা গিয়েছিল আজ সন্ধ্যার ফ্লাইটে তিনি আজই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরে আসছেন। মিরাজের এমন সিদ্ধান্তের পর একটু নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যানেজমেন্ট। সর্বশেষ খবর হল কোচ শন টেইটের সাথে এখন বৈঠক করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি খেলা ৭১ জানতে পেরেছে প্রয়োজন মনে করলে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে ডাকতে পারেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
নিজেদের প্রথম ম্যাচটা হেরেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে পরের দুই ম্যাচেই দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। বেশ প্রশংসা পাচ্ছিলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও। ব্যাট, বলে পারফর্ম করে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তবে হঠাৎই বিপিএলের মাঝপথে অধিনায়ক পরিবর্তন করলো চট্টগ্রাম। সর্বশেষ ম্যাচ থেকে দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাঈম ইসলাম।
একসময় বাংলাদেশের ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ অধিনায়ক ভাবা হতো মেহেদী হাসান মিরাজকে। তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। তখন আমরা মিরাজকে জানতাম ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে। সেই বিশ্বকাপেও অলরাউন্ড পারফর্ম করেছিলেন। তবে জাতীয় দলে আসার পর থেকে তাঁর সেই পরিচয়টা আর সামনে আসতো না।
ব্যাটসম্যান মিরাজকে বাংলাদেশ সেভাবে কখনো ব্যবহারই করেনি। তবুও আট নম্বরে নেমে টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। সাদা বলের ক্রিকেটেও নিচের দিকে নিজের ব্যাটিং দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে গত কয়েকবছরে মিরাজ মূলত বনে গিয়েছিলেন একজন স্পিনার। তবে নিজের পুরনো সত্ত্বাটাকে আবার ফিরে পাওয়ার একটা মঞ্চ খুঁজে পেয়েছিলেন মিরাজ।
এমনকি সর্বশেষ যে ম্যাচটায় মেহেদী হাসান মিরাজ অধিনায়ক ছিলেন না, সেখানেও পারফরম করেছেন দিব্যি। শেষের দিকে নেমে ৪ বলে ১৩ রান করেন। এরপর বল হাতে নেন এক উইকেট।
শোনা গিয়েছিল, সদ্যই দেশে চলে যাওয়া কোচ পল নিক্সনের পরামর্শেই নাকি অধিনায়কত্বে পরিবর্তন এনেছে চট্টগ্রাম। কারণ, মিরাজের ওপর থেকে চাপ কমাতে চান তিনি। যদিও নিজেদের কথার সাথে কাজে মিল দেখা যায়নি। মিরাজের ব্যাটিং সার্ভিস পাওয়ার ব্যাপারে আজ আগ্রহ দেখায়নি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
এতদিন পাঁচ নম্বরে নামলেও আজ তাঁকে নামানো হয় সাত নম্বরে। যদিও সাতে নেমেই ২ ছয়ে চার বলে ১৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মিরাজ। ফলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষ থেকে দেয়া ব্যাখায় একটা কিন্তু থেকেই যায়।
ওদিকে পল নিক্সন চলে যাওয়ায় হেড কোচের জায়গাটাও ফাকা হয়ে গিয়েছে। এই দায়িত্বটা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স তুলে দিতে চায় এখন বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করা শন টেইটের কাঁধে।