সাকিবের শাস্তি কমাতে মোহামেডানের আবেদন

শাস্তি কমাতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বরাবর চিঠি দিয়েছেন মোহামেডানের ডিরেক্টর ইন চার্জ অফ এডমিনিস্ট্রেশন কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি। চিঠিতে তাঁরা অনুরোধ করেছে জরিমানার পাঁচ লাখ টাকা বহাল রেখে তার ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে নবম রাউন্ড থেকে যেন তাঁকে মাঠে নামার সুযোগ দেওয়া হয়। যদিও, নিষেধাজ্ঞার তিন ম্যাচের একটি এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে যাতে মোহামেডান বৃষ্টি আইনে নয় রানে হারিয়েছেন ওল্ড ডিওএইচএসকে।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে বিতর্কিত আচারণের জন্য তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার সাথে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে।
অধিনায়কের সেই শাস্তি কমাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে আবেদন করেছে মোহামেডান।

শাস্তি কমাতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বরাবর চিঠি দিয়েছেন মোহামেডানের ডিরেক্টর ইন চার্জ অফ এডমিনিস্ট্রেশন কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি। চিঠিতে তাঁরা অনুরোধ করেছে জরিমানার পাঁচ লাখ টাকা বহাল রেখে তার ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে নবম রাউন্ড থেকে যেন তাঁকে মাঠে নামার সুযোগ দেওয়া হয়। যদিও, নিষেধাজ্ঞার তিন ম্যাচের একটি এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে যাতে মোহামেডান বৃষ্টি আইনে নয় রানে হারিয়েছেন ওল্ড ডিওএইচএসকে।

চিঠিতে তারা আরো জানিয়েছে এমন ঘটনার জন্য সাকিব গভীর ভাবে অনুতপ্ত। এরপরেও যদি তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যহার করা না হয় তবে সেটা যেন পরে কার্যকর করা হয়। বিসিবি সভাপতি নিজেও মোহামেডানের সদস্য। সাকিবের শাস্তি কমানোর সিদ্বান্তটিও তাকেই নিতে হবে।

ম্যাচের দুই আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান এবং ইমরান পারভেজ ও ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলম প্রতিবেদন জমা দেন গতকাল। যেখানে তারা সাকিবের বিপক্ষে লেভেল থ্রি ভাঙার অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের দেওয়া সেই প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করেই সাকিবকে এই শাস্তি দেওয়া হয়।

ঘটনাটি ঘটে গত ১১ জুন, আবাহনীর মোহামেডান ম্যাচে। ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল আবাহনী। পঞ্চম ওভারে প্রথম বারের মত আক্রমণে আসেন সাকিব। সাকিবের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে মুশফিকুর রহিম চার ও ছয় মারার পর শেষ বলে মুশফিক লাইন মিস করলে বল লাগে তাঁর প্যাডে।

কিন্তু সাকিবের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে লাথি মেরে ভেঙে ফেলেন বোলিং প্রান্তের স্টাম্প। এরপর বেশ কিছুক্ষণ আম্পায়ারের সাথে তর্ক করেন সাকিব। কিছুক্ষণ তর্ক চলার পর সাকিবকে আম্পায়ারের কাছে থেকে সরিয়ে নেন সতীর্থরা।

এরপর আবার খেলা শুরু হয়। পরের ওভারে পাঁচ বল হওয়ার পর বৃষ্টি আসার সম্ভবনা তৈরি হলে মাঠকর্মীদের মাঠে কাভার আনতে বলেন আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান। এরপর আবার আম্পায়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে কিছু একটা বলেন সাকিব। কিন্তু বৃষ্টি আসার আগেই খেলা বন্ধ করায় স্টাম্প তুলে আছাড় মারেন তিনি।

ঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। সাকিব তর্কে জড়ান আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সাথেও। মাঠ ছাড়ার সময় আবাহনীর ড্রেসিং রুমের দিকে কিছু একটা বলেন সাকিব। সেটা শুনেই তেড়ে আসেন সুজন। সুজনকে থামান শামসুর রহমান শুভ ও সাকিবে সরিয়ে নিয়ে যান তার সতীর্থরা।

চলতি ডিপিএলে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন সাকিব। জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম ভেঙে অনুশীলনে বাইরের বোলার এনে ছিলেন তিনি। তবে সাকিব ও মোহামেডান ভুল স্বীকার করে সেই যাত্রায় পার পেয়ে যান।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...