বিশ্বকাপটা ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে, তাইতো দ্রুত রান তোলার চেয়ে বড় রান করার দিকে নজর ছিল সব ব্যাটারদের। ব্যতিক্রমও রয়েছেন কয়েকজন, যারা ছিলেন আগ্রাসী; প্রতিপক্ষ বোলারদের দুমড়েমুচড়ে দেয়ার দিকেই মনোযোগ ছিল তাঁদের। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করা তারকাদের নিয়েই আজকের আয়োজন।
- গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)
টুর্নামেন্টের সেরা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বেছে নিতে হলে অধিকাংশেরই পছন্দের তালিকায় থাকবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সেই ডাবল সেঞ্চুরি।
আবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্রুততম শতকের রেকর্ডও গড়েছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে এই আসরে ১৫০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৪০০ রান করেছেন তিনি।
- হেনরিখ ক্ল্যাসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা)
ফেভারিটের তালিকায় না থাকলেও এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবারের মত ফাইনাল খেলার স্বপ্ন পূরণ না হলেও দলটির ব্যাটারদের পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
বিশেষ করে হেনরিখ ক্ল্যাসেনের পাওয়ার হিটিং তুমুল বিনোদনের উপলক্ষ ছিল। পুরো আসর জুড়ে ১৩৩.২১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছিলেন তিনি; এবং তাঁর মোট রান ছিল ৩৭৩।
- ট্র্যাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া)
সেমিফাইনাল আর ফাইনাল দুই ম্যাচেই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন ট্রাভিস হেড। বিশ্বকাপের অর্ধেকটা সময় মাঠের বাইরে থাকলেও নিজের সেরাটা ঠিকই নিংড়ে দিয়েছেন প্রয়োজনের মুহূর্তে।
তাঁর নিখাঁদ পাওয়ার হিটিং ছিল অজিদের এক্স ফ্যাক্টর। ১২৭.৫১ স্ট্রাইক রেটে পুরো টুর্নামেন্ট ব্যাটিং করেছেন এই বাঁ-হাতি, সেই সাথে ছয় ম্যাচেই করেছেন ৩২৯ রান।
- রোহিত শর্মা (ভারত)
আগের বিশ্বকাপে বড় বড় ইনিংস খেলা রোহিত শর্মা এবার দলের স্বার্থে নিজের এপ্রোচ বদলেছেন। সতীর্থদের ওপর থেকে চাপ কমাতে নিজেই আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছেন, প্রতি ম্যাচেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন তিনি।
তাঁর স্ট্রাইক রেটও সেই কথা বলে, প্রায় ১২৬ স্ট্রাইক রেটে ৫০০ এর বেশি রান করেছেন এই ওপেনার।
- ফখর জামান (পাকিস্তান)
ছন্দহীন পারফর্ম করায় এক ম্যাচ খেলেই বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছিল অনেকটা সময়। কিন্তু পুনরায় সুযোগ পেতেই স্বরূপে আবির্ভূত হন ফখর জামান; নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে অসম্ভব এক জয় এনে দেন।
অন্য ম্যাচগুলোতেও দ্রুত রান তোলার দিকেই মনোযোগ ছিল তাঁর। এই পাক ব্যাটারের স্ট্রাইক রেটও এই কথার সাক্ষ্য দেয়; ১২৩ স্ট্রাইক রেটে ২২০ রান করেছিলেন তিনি।