লিগ পর্বের শেষ ম্যাচেই এক প্রকার এলিমিনেটর খেলে এসেছে মুম্বাই। সেই ম্যাচের জমানো আত্মবিশ্বাস নিয়েই তাই মাঠে নেমেছিল আইপিএলের সফলতম দলটি।আসল এলিমিনেটরের বাঁচা মরার লড়াইয়ে প্রথমে ১৮২ রানের পুঁজি জমা করার পর আকাশ মাধওয়ালের বোলিংয়ে লখনৌকে দাঁড়াতেই দেয়নি তারা।
লখনৌকে ৮১ রানে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালের আশা এখনো টিকিয়ে রেখেছে রোহিত শর্মার দল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে লড়তে হবে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নদের।
চেন্নাইয়ে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মাকে হারায় মুম্বাই। চতুর্থ ওভারে রোহিত ফেরার পরের ওভারেই ফিরে যান ইশান কিষান। এরপর মুম্বাইয়ের হাল ধরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ক্যামেরন গ্রিন ও সুরিয়াকুমার যাদব। দুজনের ৬৬ রানের পার্টনারশিপে বড় স্কোরের ভিত পায় মুম্বাই।
তবে মুম্বাইয়ের ইনিংসে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ান নাভিন উল হক। রোহিত শর্মাকে ফেরানোর পর তিনি ফেরান দুই সেট ব্যাটার গ্রিন ও সুরিয়াকেও। ২৩ বলে এক ছক্কা ও ছয় চারে ৪১ রান করেন গ্রিন। আর ২০ বলে সমান দুটি করে ছক্কা ও চারে ৩৩ রান করে নাভিনের শিকার হন সুরিয়া।
এরপর তিলক ভার্মার উইকেটও তুলে নেন নাভিন। শেষ দিকে নেহালের ১২ বলে ২৩ রানের ক্যামিওতে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় মুম্বাই। চার ওভারে ৩৮ রানে চার উইকেট নেন লখনৌ পেসার নাভিন উল হক।
বাঁচা মরাএ লড়াইয়ে ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় লখনৌ। দ্বিতীয় ওভারেই প্রেরক মানকাদকে ফেরান আকাশ মাধওয়াল। এরপর ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা কাইল মায়ার্সকে ফেরান ক্রিস জর্ডান।
শুরুর ধাক্কা কিছুটা সামাল দেবার চেষ্টা করেন অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া ও মার্নাস স্টয়নিস। দুজনের ৪৬ রানের জুটি ভাঙে ১১ রান করা ক্রুনাল পান্ডিয়া পিয়ুশ চাওলার বলে আউট হলে। এরপর রান আউট হয়ে ফিরে যান ২৭ বলে এক ছক্কা ও পাঁচ চারে ৪০ রান করা স্টয়নিসও।
এরপরই যেন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে লখনৌর ব্যাটিং লাইন আপ। আকাশ মাধওয়ালের বোলিং তোপে ৩২ রানে শেষ আট উইকেট হারায় সুপার জায়ান্টস। লখনৌর আট ব্যাটারই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
তিন ওভার তিন বল বোলিং করে মাত্র পাঁচ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন আকাশ। ১০১ রানেই গুটিয়ে যায় লখনৌর ইনিংস। ৮১ রানের বিশাল হয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইলো মুম্বাই। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ২৬ মে গুজরাটের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে তারা।