দারিদ্র্যের সাথে নিদারুণ লড়াই, বাবার ত্যাগ-তিতিক্ষা এরপর আইপিএলের ভাগ্যবদলের মঞ্চ। শুভাম দুবের গল্পটা ঠিক এমনই। রাতারাতি কোটিপতি বনে গিয়েছেন বিদর্ভের এই অলরাউন্ডার।
১৯ ডিসেম্বর আইপিএলের নিলামে রাজস্থান রয়্যালস ৫.৬০ কোটি টাকার বিনিময়ে দলে নেওয়ার পরে তাঁর জীবনেরই একটা বাঁক বদল ঘটেছে। দু:সময়ের জালে এতদিন আটকে থাকা শুভম এখন পরিবারের জন্য বাড়ি কিনতে চান। অথচ একটা সময় পর্যন্ত তাঁর কিট কিনে দেওয়ার মতো পয়সাও ছিল না তাঁর বাবার।
তবে সে দুঃসময়ই যেন এখন তৃপ্ততা আর অর্জনের সুখানুভূতি দিচ্ছে শুভাম দুবেকে। দিন দশেক আগেও যিনি ছিলেন অচেনা, সেই দুবে এখন আইপিএলের বদৌলতে ‘টক অব দ্য টাউন’।
নিজের সেই দুঃসময়ের কথা বলতে গিয়ে দুবে পরিবারকে রেখেছেন সবার উপরে। তিনি বলেন, ‘দু:সময়ে পরিবারকে পাশে পেয়েছি। চোট পেয়ে যখন মাঠের বাইরে ছিলাম, তখন আমাকে ইতিবাচক থাকতে সাহায্য করেছিল আমার পরিবারের সদস্যরা। আমি এখন পরিবারের সদস্যদের স্বাচ্ছন্দ্য দিতে চাই, তাদের সুখী দেখতে চাই। আমার পরিবারের জন্য বাড়ি কিনতে চাই।’
বিদর্ভের আগ্রাসী এই মিডল অর্ডার ব্যাটার নজর কাড়েন সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে। এই টুর্নামেন্টে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮৫। আর এমন পারফরম্যান্সই তাঁকে আইপিএলের দলগুলোর জন্য চাহিদার পাত্র বানিয়েছে। অথচ একটা সময় তাঁর বাবার ক্রিকেট কিট কিনে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। কিন্তু পান বিক্রি করে ছেলে শুভামের জন্য ক্রিকেট কিট কিনে দেন।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট কিট কিনে দেওয়ার ক্ষমতা আমার পরিবারের ছিল না। তবুও কিট কিনে দিয়েছিলেন। পরিবারকে টানার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন বাবা। পান বিক্রি করেছেন, হোটেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন।’
দুবের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তাঁ যমজ ভাইয়ের রয়েছে দারুণ অবদান। ক্রিকেটার হওয়ার পিছনে তাঁর ভাইয়ের অবদানের কথা বলেতে গিয়ে দুবে বলেন, ‘পরিবারে আমার সবচেয়ে বড় সমর্থক আমার যমজ ভাই। আমাদের পরিবারের আর্থিক দিকটা সামলানোর দায়িত্ব গ্রহণ করে আমার ভাই। আমার উপরে যাতে চাপ না আসে, সেদিকে নজর দিয়েছিল।’