জুটির বিপ্লবের পর নখদন্তহীন বোলিং

২৭৮ বলে ১৭ টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ১৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এর আগে টেস্টে মাহমুদউল্লাহর সর্বোচ্চ রান ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৬। আর তাসকিন খেলেন ১৩৪ বলে ৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১ টি চার। স্বীকৃত ক্রিকেটে এটিই তাঁর প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।

দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সবারই একটা প্রশ্ন ছিল কত দূর যাবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদের জুটি। সময় যতো গড়িয়েছে প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা শুধু বেড়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রশ্নটি রুপ নিয়েছে বিস্ময়ে। দিনের প্রায় প্রথম দুই শেসন বিস্ময় আর বিস্ময় উপহার দিয়ে এই জুটি থেমেছে বিশ্ব রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে।

নবম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড মার্ক বাউচার ও প্যাট সিমকক্সের দখলে। এই দুই প্রোটিয়ার সংগ্রহ ছিল ১৯৫ রান। আর আজ মাহমুদউল্লাহ তাসকিনের জুটি থেমেছে ১৯১ রানে। তবে দুজন বিশ্ব রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও বাংলাদেশের হয়ে নবম উইকেটের রেকর্ড ভেঙেছেন ঠিকই।

আগের সর্বোচ্চ ১৮৪ রানের রেকর্ডের সাথেও জড়িয়ে ছিল মাহমুদউল্লাহর নাম। ২০১৩ সালে
আবুল হাসান রাজুকে এই জুটি গড়ে ছিলেন তিনি। আজ রেকর্ড গড়া জুটির পথে এই দুই জনও খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। প্রায় দেড় বছর পর অনেক আলোচনার জন্ম দিয়ে টেস্ট স্কোয়াডে ফেরা মাহমুদউল্লাহ প্রত্যাবর্তন রাঙিয়েছেন।

২৭৮ বলে ১৭ টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে  ১৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এর আগে টেস্টে মাহমুদউল্লাহর সর্বোচ্চ রান ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৬। আর তাসকিন খেলেন ১৩৪ বলে ৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১ টি চার। স্বীকৃত ক্রিকেটে এটিই তাঁর প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।

সকালে ৮ উইকেটে ২৯৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দলের চাওয়া ছিল আর ৬০ – ৭০ রান। সেখানে দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে আরো ১৭৪ রান যোগ করে ৪৬৮ রানে থামে বাংলাদেশ। গতকাল মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান ও লিটন দাস করেন ৯৫ রান।

জিম্বাবুয়ের বোলারদের ভিতর সবচেয়ে সফল ছিলেন ব্লেসিং মুজারাবানি। চারটি উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। এছাড়া ভিক্টর নিয়াউচি ও ডোনাল্ড টিরিপানো দুটি এবং রিচার্ড এনগারাভা ও মিল্টন শুম্বা একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

এর পর দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে দারুণ শুরু এনে দেন মিল্টন শুম্বা  ও তাকুজওয়ানাশে কাইতানো। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬১ রান। সাকিব আল হাসানের প্রথম শিকার হয়ে ৪১ রান করে শুম্বা ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি।

এরপর দিনের বাকি সময় কাটিয়ে দেন ব্রেন্ডন টেইলর ও কাইতানো। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৩ রান যোগ করেন দুজন। কাইতানো ৩৩ রানে ও টেইলর ৩৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে একটি উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। বলাই বাহুল্য, বৈচিত্রের অভাবে বোলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ দল।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর: (দ্বিতীয় দিন শেষে)

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৬৮/১০ (ওভার: ১২৬; সাদমান- ২৩, সাইফ- ০, শান্ত- ২, মুমিনুল- ৭০, মুশফিকুর- ১১, সাকিব- ৩, মাহমুদউল্লাহ- ১৫০*, লিটন- ৯৫, মিরাজ- ০, তাসকিন- ৭৫) (মুজারাবানি- ২৯-৪-৯৪-৪, নিয়াউচি- ১৭-১-৯১-২, টিরিপানো- ২৩-৫-৫৮-২)

জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ১১৪/১ (ওভার: ৪১; শুম্বা- ৪১, কাইতানো- ৩৩*, টেইলর- ৩৭* ) (সাকিব- ১৩-২-৪৩-১)

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...