জিতলেই দ্বিতীয় রাউন্ড; হারলে ধরতে হবে বাড়ি ফেরার পথ।
এমন সমীকরণ সামনে রেখে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় আয়ারল্যান্ড ও নামিবিয়া। আর মরা বাঁচার এই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে পা দিলো নামিবিয়া।
১২৬ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে নামিবিয়া। একটু ধীরগতির হলেও ২৫ রানের জুটি গড়ে দুই ওপেনার। পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেটে ২৭ রান তুলতে সক্ষম হয় নামিবিয়া। এরপর গারহার্ড ইরাসমাস ও জেন গ্রিনের ধীর গতির ব্যাটিংয়ে রান ও বলের ব্যবধানটাও বেড়ে যায়। ৭ ওভারে প্রয়োজন ছিলো ৫৫ রানের। ওই ওভারে জেন গ্রিন ফিরলে ক্রিজে আসেন আগের ম্যাচের নায়ক ডেভিড ভিসে। শেষ ৬ ওভারে দরকার ৪৯ রান! পর পর দুই বলে ২ ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় নামিবিয়া।
শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিলো মাত্র ৩৩ রান। উইসে ও অধিনায়ক ইরাসমাসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নামিবিয়া। একপ্রান্তে অসাধারণ ব্যাটিং করে ইরাসমাস করেন ব্যাক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে দুই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং ও কেভিন ও’ব্রায়ান। পাওয়ারপ্লেতে দু’জনে মিলে করেন ৫৫ রান! ম্যাচ থেকে ব্যাকফুটে থাকা নামিবিয়াকে ম্যাচে ফেরান স্কহটজ। ২৪ বলে ৩৮ রানে স্টার্লিং ফিরলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে আইরিশদের। এই উইকেটই যেনো ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। কারণ এরপরই হটাৎ পালটে যায় ম্যাচের চিত্র। পরের ওভারেই আউট কেভিন ও’ব্রায়ানও! ৬৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ভীত গড়েন অ্যান্ড্রু বালবির্নি ও গ্যারেথ ডিলানি।
কিন্তু ঠান্ডা মেজাজের ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে ২৭ রানের জুটি গড়েন দুজনে! দলীয় ৯৪ রানে ডিলানি ফিরলে শুরু হয় আইরিশদের ব্যাটিং বিপর্যয়। বালবির্নি, কার্টিস ক্যাম্পফার, হ্যারি টেক্টররা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। ডেভিড ভিসে, জান ফ্রাইলিংকদের দাপুটে বোলিংয়ে শেষ ১৪ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ৭০ রান তুলতে সক্ষম হয় আইরিশরা! নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৫ রান করে আয়ারল্যান্ড।
দলের পক্ষে স্টার্লিং সর্বোচ্চ ৩৮, ও’ব্রায়ান ২৫ ও বালবির্নি করেন ২১ রান। বাকিরা কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা। নামিবিয়ার পক্ষে ফ্রাইলিং ২১ রানে ৩ ও ভিসে ২২ রানে শিকার করেন ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ আয়ারল্যান্ড – ১২৫/৮ (২০ ওভার) (স্টার্লিং ৩৮(২৪), ও’ব্রায়ান ২৫(২৪) ও বালবির্নি ২১(২৮); ফ্রাইলিং ৪-০-২১-৩, ভিসে ৪-০-২২-২)।
নামিবিয়াঃ ১২৬/২ (১৮.৪ ওভার) (ইরাসমাস ৫৩(৪৯)*, ডেভিড ভিসে ২৮(১৪)*, গ্রিন ২৪(৩২); কার্টিস ক্যাম্পফার ৩-০-১৪-২, জসুয়া লিটল ৪-০-২২-০, সিমি সিং ৪-০-২৮-০)
ফলাফলঃ নামিবিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।