দিন কয়েক আগেই সুনীল নারাইন জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন না তিনি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজরা তাঁকে খুব করে চাইলেও মাঠের বাইরে থেকে দেশকে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সেটা মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সমর্থকদের, আর সেই মন খারাপের পরিমাণ বেড়ে গেলো পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে তাঁর পারফরম্যান্স দেখার পরে।
চলতি আইপিএলে মেন্টর হিসেবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। এরপরই নারাইনকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর পুরনো কৌশল আবারো কাজে লাগান। সাবেক সতীর্থের আস্থা বৃথা যেতে দেননি তিনি, টুর্নামেন্ট জুড়ে হয়ে উঠেছেন দুর্দান্ত ধারাবাহিক। তাঁর ব্যাট থেকে একের পর এক মনের রাখার মত ইনিংস।
সবশেষ পাঞ্জাবের বিপক্ষে স্রেফ ৩২ বলে ৭১ রান করেন এই ব্যাটার। নয় চার আর চার ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে স্ট্রাইকরেট স্বাভাবিকভাবেই আকাশ ছুঁয়েছে, সংখ্যার হিসেবে সেটা ২২২! তাঁর এমন ব্যাটিংয়ের ফলে কলকাতা পেয়েছে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ, আর তিনি নিজে উঠে এসেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকার দুইয়ে।
এদিন প্রথম থেকেই বরাবরের মত আগ্রাসী ছিলেন এই বাঁ-হাতি; বোলারদের বলে কয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করতে শুরু করেছিলেন। চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন তিনি, পাওয়ার প্লে শেষে তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১৫ বলে ৩৮ রান! অর্থাৎ দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়ার যে দায়িত্ব তাঁকে দেয়া হয়েছে সেটা দারুণভাবে পালন করেছেন।
তবে এতটুকুতেই তুষ্ট হননি এই অলরাউন্ডার, ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন। তারপরও থামেনি তাঁর তান্ডব, পরের আট বলে আরো ২১ রান করেন। এগারোতম ওভারে রাহুল চাহারের ডেলিভারিতে থামতে হয় তাঁকে, ততক্ষণে অবশ্য দলকে বিশাল সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নারাইনের এমন ফর্মের সুবিধা ভোগ করতে পারবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেটা নিশ্চিতভাবেই তাঁদের জন্য বড় ক্ষতি। তবে কলকাতার জন্য সেটা মাথাব্যাথার কারণ নয়, চলতি টুর্নামেন্টে দলটির জন্য মহা আশীর্বাদ হয়ে উঠেছেন তিনি। পারফরম্যান্সের এমন ধারা চলতে থাকুক সেটাই এখন প্রত্যাশা তাঁদের।