শাহীন আফ্রিদির বলে ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন নাঈম শেখ। ব্যাটে বলে তেমন সংযোগ না ঘটলেও সেটি গিয়েছিল বাউন্ডারিতে।
ফাইন লেগ থেকে এসে সেই চার বাঁচাতে গিয়েই ডাইভ দেন নাসিম শাহ। ব্যাস তাতেই চোটে পড়ে যান পাকিস্তানি এ পেসার। ফিজিওর তাৎক্ষণিক তদারকিতে অবশ্য চোটটা গুরুতরই মনে হচ্ছিল তখন। কিছুক্ষণ মাঠে পড়ে ছিলেন, এরপর ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছেড়ে যান তিনি।
সামনেই বিশ্বকাপ। চলতি এশিয়া কাপসহ বৈশ্বিক সে টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের অন্যতম সদস্য নাসিম। আর এমতাবস্থায় নাসিমের ইনজুরি হতে পারতো পাকিস্তানের জন্য বড় দুঃসংবাদ। তবে সেটি আর হয়নি। ম্যাচ চলাকালীন সেবাশুশ্রূষা শেষে মাঠে ফিরে আসেন নাসিম। শুধু ফেরেনই নি, বলও করেন তিনি। ইনিংসের ১৯তম ওভারে বল হাতে ফিরে আসেন তিনি। এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শরিফুল ইসলামের উইকেট তুলে নেন তিনি।
চোটে পড়ার আগে বাংলাদেশের ইনিংসে অবশ্য প্রথম আঘাতটা হেনেছিলেন নাসিম শাহই। নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই মিরাজকে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন তিনি।
তবে, চোটে পড়ার আগে প্রথম স্পেলের চেয়ে চোট থেকে ফিরে এসেই বল হাতে আগ্রাসী ছিলেন নাসিম। চোটের আগে ৩ ওভারে যে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন, সেখানে চোট থেকে ফেরার পর ২.৪ বলে ১২ রান দিয়ে তুলে নেন ২ টি উইকেট। সব মিলিয়ে এ পেসার ৩৪ রানে নেন ৩ টি উইকেট
এবারের এশিয়া কাপ সূচির ধকল নিয়ে আগেই কথা তুলেছিলেন নাসিম শাহ। প্রথমত লাহোরে প্রচুর গরমের মধ্যে খেলতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র পাকিস্তানি ক্রিকেটারদেরই গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুলতান-ক্যান্ডি-লাহোরে ভ্রমণজনিত ধকল পোহাতে হচ্ছে। অবশ্য সুপারফোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে এ ম্যাচের পর বাকি পর্বের সবটাই হবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে।
তবে বিশ্বকাপের আগে ভিন্ন কন্ডিশনে কম সময়ের ব্যবধানে এমন ভ্রমণজনিত ধকল ক্রিকেটারদের ইনজুরি প্রবণতাই বাড়াচ্ছে। অবশ্য নাসিম শাহর ইনজুরিতে পড়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও বেশ ক’বার ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে ছিলেন এ পেসার। যদিও এ যাত্রায়, পাকিস্তানের জন্য স্বস্তির খবর হলো, নাসিম শাহ শতভাগ সুস্থ্য হয়েই মাঠে ফিরে এসেছেন।