ব্যাটারদের পেটে ঘিঁ হজম হয়নি

এরকম মহাসড়কের মতো উইকেটে ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতে নেমে ৩৯ ওভারেই অলআউট স্রেফ অবিশ্বাস্য ও অগ্রহণযোগ্য।

এরকম মহাসড়কের মতো উইকেটে ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতে নেমে ৩৯ ওভারেই অলআউট স্রেফ অবিশ্বাস্য ও অগ্রহণযোগ্য।

সাকিব আল হাসান যে কতটা স্মার্ট ক্রিকেটার, ক্যারিয়ারে আরও অনেকবারের মতো আজকেও দেখিয়ে যাচ্ছিলেন। বোলারদের পেস কাজে লাগিয়ে, ক্রিজের দারুণ ব্যবহার করে রান বাড়াচ্ছিলেন তিনি অনায়াসে। কিন্তু এমনভাবে আউট হলেন, স্রেফ হতাশাজনক বললেও কম বলা হয়। আউটের ধরনও তার ক্যারিয়ারে আরও অনেকবারের মতোই।

মুশফিকুর রহিম এতটা নির্ভরতায় খেলছিলেন, যাকে বলে অভিজ্ঞতার ঝাঁপি মেলে ধরে। কিন্তু তার শেষটা আরও বাজে। সাকিব-শামিম আউট হওয়ার পর তার স্রেফ একটাই কাজ ছিল, ইনিংসটা আগলে রেখে টেনে নেওয়া। কিন্তু এতটাই দৃষ্টিকটূ আউট যে, আগের সবটুকু ভুলিয়ে দেওয়ার মতো।

এই দুজনের আউট তো বটেই, নাঈম-শামিম-আফিফ, সবার আউটেই গেম অ্যাওয়ারনেস বা ম্যাচ পরিস্থিতির সচেতনতার ঘাটতি প্রবলভাবে স্পষ্ট। এটা অবশ্য বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অনেক পুরোনো সমস্যা।

মিরাজের আউট একদম সফট ডিসমিসাল ছিল। অনেক সময় এসব হয়ে যায়। লিটন একটা ভালো বলে আউট হয়েছেন। তবে খোঁচা না মেরে ছেড়ে দিতে পারতেন। হৃদয়ের হেড পজিশন কখনও কখনও একটু দ্রুত পড়ে যাচ্ছে।

এজন্য ফুল লেংথ ধরনের বলে অন সাইডে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। আজকের বলটি সোজা ব্যাটে খেললে হয়তো বাউন্ডারিও পেতে পারতেন। অথচ তিনি অন সাইডে খেলতে গেলেন।

শামীমের স্রেফ দ্বিতীয় ওয়ানডে এটি, আফিফ দলে ফিরেছেন মাত্র। তাদেরকে হয়তো এখনই সামগ্রিক বিচার করা উচিত নয়। কিন্তু দুজন দারুণ শুরুর পরও যেভাবে আউট হলেন, নিজেদের খুব ভালো বিজ্ঞাপন তারা মেলে ধরতে পারেননি। বিশেষ করে, বিশ্বকাপের আগে প্রতিটি সুযোগই যেখানে মহামূল্য, তারা আসলে নিজেদের সঙ্গেই অন্যায় করেছেন।

তাসকিন, শরিফুলরা ব্যাটিং পারেন। ব্যাট হাতে টুকটাক অবদানও রেখেছেন আগে। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে আরও ধারাবাহিক হতে হবে তাদের। নইলে এই যুগের ক্রিকেটে কাজ চলবে না।

সব মিলিয়ে এরকম ব্যাটিং স্বর্গে এতগুলো ব্যাটসম্যান নিয়ে ২০০ করতে না পারা চরম হতাশার। এরকম উইকেট তো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সচরাচর পান না। নিজেদের জন্য হলেও তো এখানে রান উৎসব করা উচিত। মন্থর, গ্রিপ করা, নিচু বাউন্সের উইকেটে খেলতে খেলতে আমাদের পেটে আজকে ‘ঘি’ (নিষ্প্রাণ উইকেট) হজম হলো না আর কী!

– ফেসবুক থেকে

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...