মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুইটি হলুদ কার্ড দেখেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। আধিপত্য দেখিয়েও গোল করতে না পারার হতাশায় এমন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সামলে রাখতে পারেননি নিজেকে। তাঁর মাঠ ছাড়া ফিরিয়ে এনেছে ২০০৫ সালের স্মৃতি, কেননা সবশেষ সে বছরই দশজনের দল নিয়ে গোল করতে পেরেছিল ডাচরা। এরপর কখনোই সেটা করতে পারেনি দলটি, তবে এবার পেরেছে।
পুরো তিন পয়েন্টই হারিয়ে ফেলার দ্বারপ্রান্তে ছিল ডাচরা, ভাগ্যিস ডেঞ্জেল ডামফ্রিসের ৮৩ মিনিটে করা গোলে ম্যাচে সমতা ফিরেছিল। এই গোলে পর্দার পিছন থেকে কলকাঠি নেড়েছেন কডি গ্যাকপো নিজেই। তিনিই সেটপিস থেকে পিন পয়েন্ট ক্রসিংয়ে খুঁজে নিয়েছিলেন ডামফ্রিসকে।
এর আগে কিংবা পরের গল্পগুলো কেবলই কমলা জার্সিধারীদের জন্য হতাশার। তিজানি রেইনডারস, জাভি সিমন্সরা একের পর এক আক্রমণ সাজিয়েছেন ঠিকই কিন্তু প্রতিবার ফাইনাল থার্ডে সব এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। অথচ স্রোতের বিপরীতে ৩২ মিনিটের মাথায় স্কোরবোর্ডে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে স্বাগতিকরা।
ঘরের মাঠে সল্ট ন্যাগি দুর্দান্ত ভঙ্গিতে কাউন্টার এটাক করলে তৈরি হয় গোলের সুবর্ণ সুযোগ, ন্যাগির চিপ পাস থেকে ফার পোস্ট অঞ্চল দিয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন রোল্যান্ড সাল্লাই। যদিও এর আগে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন তিনি। কর্নারে জটলার একটু বাইরে বল পেয়েছিলেন সাল্লাই, দারুণ একটা শটও নিয়েছিলেন কিন্তু গোলবার বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
পুরো ম্যাচে হাঙ্গেরির হাইলাইটস কেবল ওই গোল আর ওই শট৷ বাদ বাকি সবই ডাচদের আধিপত্য, ৭৪ ভাগ বল দখলে রেখে খেলেছে তাঁরা। গোলের জন্য চেষ্টা করেছে একে একে ষোল-বার; দলটা সবমিলিয়ে পাস খেলেছে ৬৩০টা! যেখানে হাঙ্গেরির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ১৭৩ – মজার ব্যাপার লাল কার্ড দেখা ভ্যান ডাইক একাই খেলেছেন ১৪৫টা পাস।
তৃতীয় রাউন্ডে জিততে না পারায় গ্রুপের শীর্ষস্থান হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। আপাতত পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে জার্মানির নিচে আছে তাঁরা। অন্যদিকে, হাঙ্গেরির ঝুলিতে সংগ্রহ কেবল দুই পয়েন্ট, চতুর্থ স্থানে থাকা বসনিয়ার চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি তাঁদের।