কোচদের সাথে বৈঠক: নতুন চাহিদাপত্র হাতুরুর

রাসেল ডোমিঙ্গোর প্রস্থান, চান্দিকা হাতুরুসিংহের প্রত্যাবর্তন। বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবারো লঙ্কান এ কোচের আগমন ঘটতেই যেন বদলে গেল বাংলাদেশ। আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ নিয়ে বড় স্বপ্নে বুঁদ হয়ে আছে পুরো দেশ।

অবশ্য দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের দায়িত্ব পাওয়ার পরই হাতুরু জানিয়েছিলেন আশার বাণী। নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘এবার আমি অনেক অভিজ্ঞ হয়ে ফিরে এসেছি। বাংলাদেশকে তাই নতুন কিছু দিতে চাই। এবার শুধু জয়ের দিকেই চোখ থাকবে না, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কাঠামোও নির্ধারণ করা হবে এবার।’

নিজের দেওয়া সেই কথা রাখতেই এবার বিভিন্ন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় কোচদের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন হাতুরুসিংহে। গত শনিবার বিশেষ সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের কোচ ডেভিড হেম্প, বাংলাদেশ টাইগার্সের কোচ জেমি সিডন্স, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ স্টুয়ার্ট ল এবং বিসিবি’র অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। এ ছাড়া উক্ত আলোচনায় সমন্বয়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি’র হেড অব প্রোগ্রাম ডেভিড মুর।

মূলত এ আলোচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে চান্দিকা হাতুরুসিংহে নিজের ভাবনা সবার সাথে ব্যক্ত করেন। সেখানে মূলত দেশের উঠতি ক্রিকেটারদের কিভাবে পরিচালনা করা হবে, সেটিই গুরুত্ব সহকারের আলোচনা করা হয়েছে।

এ নিয়ে এইচপি কোচ ডেভিড হেম্প ক্রিকেট ভিত্তিক গণমাধ্যম ক্রিকবাজকে বলেন, ‘অনেক বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে। কিভাবে দেশের ক্রিকেটকে আরেকটু এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে মূলত এ আলোচনা সভা হয়েছিল। যেখানে ক্রিকেটীয় অর্জনের পাশাপাশি গেম ডেভেলপমেন্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটাকে এক ধরনের রিভিউ মিটিং বলা যেতে পারে। কোন ক্রিকেটার কেমন করছে, কিভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে, এসব বিষয় নিয়েই হাতুরু তাঁর একান্ত মতামত জানিয়েছেন। এখানে তাঁর ভাবনার সাথে আমাদেরও মতামত গুরুত্ব ছিল। তাই সব কোচকে নিয়ে এমন মিটিং হলে কাজ করতে সুবিধা হয়।’

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের পাশাপাশি লেগ স্পিনের বেশ অপ্রতুলতা রয়েছে। হাতুরুসিংহে ঠিক এ বিষয়টিই উক্ত বৈঠকে আলোকপাত করেন।

এ নিয়ে ডেভিড হেম্প বলেন, ‘তিনি আমাদের লেগস্পিন আর পেস বোলিং অলরাউন্ডার তৈরির ব্যাপারে কথা বলেছেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটটাই একমাত্র প্রভাব রাখে। এ ছাড়া কাউকে পরখ করার সুযোগ খুব কম থাকে। এটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

এইচপি, বাংলাদেশ টাইগার্স ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচগুলোর মধ্যে এমন বৈঠকের গুরুত্ব জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘দেখুন, একজন ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার আগে বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট, এ দল, এইপি- এব সব গণ্ডি পার হয়েই আসে। তাই একজন খেলোয়াড়ের উন্নতির জন্য সব লেভেলের কোচেরও একই দর্শন ও কাজে সমন্বয় থাকা উচিত। তাই এমন আলোচনাসভা দেশের ক্রিকেটের জন্য আসলেই গুরুত্বপূর্ণ।’

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link