নব্য তারকা নিতীশের ঝলসানো আগ্রাসন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) সবসময়ই দর্শকদের দু’হাতে বিনোদন দিয়ে যায়। তবে তরুণ ক্রিকেটারদের লাইমলাইটে আসার পথ চেনানো আইপিএলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। প্রতি বছরই কেউ না কেউ নিজের প্রতিভার প্রমাণ দেন, চলতি আসরেও সেটির ব্যতিক্রম হয়নি। এই যেমন, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের নিতীশ কুমার রেড্ডি প্রথমবারের মত সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছেন।

২০২৩ সালের আসর দিয়ে আইপিএলে পা রেখেছিলেন তিনি, কিন্তু সেই বছর সুযোগ পাননি ছাপ রাখতে। দুই ম্যাচ একাদশে থাকলেও ব্যাট হাতে মাঠে নামার সুযোগ আসেনি তাঁর কাছে। তাই তো তাঁকে ক্রিকেটীয় লড়াইয়ে দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে আরো কিছুটা সময়।

সবশেষ রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে এই ব্যাটার দারুণ পারফরম করেছেন, ৪২ বলে খেলেছেন ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তিন চারের পাশাপাশি আট আটটি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে তাঁর এমন পারফরম্যান্সের কল্যাণেই ২০১ রানের পাহাড়সম পুঁজি পেয়েছে হায়দ্রাবাদ।

রাজস্থানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে পাওয়ার প্লেতেই উইকেটে এসেছিলেন এই ডানহাতি। ৩৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে তখন প্যাট কামিন্সের দল বিপদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিল। তবে চাপের মুখে ভেঙে না পড়ে ট্রাভিস হেডকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন তিনি, হেড একপ্রান্ত আগলে রাখলেও তাঁর ব্যাটে বাউন্ডারি ঝড় উঠেছিল।

তেরোতম ওভার থেকেই নিতীশ ২০ রান আদায় করেন। আগ্রাসী মানসিকতার কারণে ফিফটির জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি, ৩০ বলেই হাফসেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। মাইলফলক স্পর্শ করার পরও তাঁর মন তুষ্ট হয়নি, ডেথে ফিনিশিং দেয়ার কাজটা নিজেই করেছেন। হেনরিখ ক্লাসেনের সাথে ৭০ রানের জুটির সুবাদে দলীয় সংগ্রহ দুইশর গন্ডি পেরিয়ে যায়।

এই উদীয়মান তারকা যেভাবে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। একইসাথে মানসিক দৃঢ়তা আর সাহস দেখিয়েছেন তিনি; ভাল ডেলিভারিকে যেমন সম্মান করেছেন তেমনি শাস্তি দিয়েছেন বাজে বলকে। ভারতীয় ভক্তরা তাই চাইলে নতুন ব্যাটিং ভরসার আগমন নিয়ে খুশি হতেই পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link