পাওয়ার হিটার নেই পাকিস্তানে!

সময় যতই গড়াচ্ছে ততই নিকটে আসছো এশিয়া কাপ; সেই সাথে বাড়ছে ভারত-পাকিস্তান মহাযুদ্ধ নিয়ে অপেক্ষা। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় দিনে একে অপরের মুখোমুখি হবে এই দুই প্রতিবেশী, আর আকাঙ্খিত এই ম্যাচ নিয়ে চলছে নানাবিধ আলোচনা।

সময় যতই গড়াচ্ছে ততই নিকটে আসছো এশিয়া কাপ; সেই সাথে বাড়ছে ভারত-পাকিস্তান মহাযুদ্ধ নিয়ে অপেক্ষা। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় দিনে একে অপরের মুখোমুখি হবে এই দুই প্রতিবেশী, আর আকাঙ্খিত এই ম্যাচ নিয়ে চলছে নানাবিধ আলোচনা।

এবার এশিয়া কাপ আর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার রশিদ লতিফ। মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে বাবর আজমদের দারুণ কিছু করার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন তিনি, তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদেরকেই এগিয়ে রাখছেন।

এই উইকেটরক্ষক বলেন, ‘পাকিস্তানের ভাল সুযোগ আছে। দলে খুব শক্তিশালী ফাস্ট বোলিং ইউনিট রয়েছে; ব্যাটিংয়ের কথা বললে ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, এবং বাবর আজমের পারফরম্যান্স খুব ভাল। তারপর শাহীন আফ্রিদি, হরিস রউফ, শাদাব খান, এবং মোহাম্মদ নওয়াজ রয়েছে। এই ছেলেরা পাকিস্তানের জন্য অটো-চয়েজ বলে মনে হচ্ছে।’

২০১৭ সালের পর এ বছর আবারো বড় কোন শিরোপা জিততে মুখিয়ে থাকা পাকিস্তান এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করবে এমনটাই বিশ্বাস রশিদ লতিফের। এছাড়া অন্য দলগুলো কোন না কোনভাবে খানিকটা পিছিয়ে আছে বলে মনে করেন তিনি।

এই সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘যখন আপনি ভারত বা অন্যান্য দলের দিকে তাকান, দেখবেন তারা স্ট্রাগল করছে। ভারত তাদের মিডল অর্ডার নিয়ে সমস্যায় আছে, তাই আমি বিশ্বাস করি পাকিস্তানের একটি চমৎকার সুযোগ রয়েছে। এবং তাদের লড়াই করে টুর্নামেন্ট জিততে হবে।’

তবে ভারত ও পাকিস্তান দলের তুলনা করে ভারতকে এগিয়ে রাখছেন রশিদ লতিফ। তাঁর মতে, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার মত সুপারস্টাররা ভারতকে বাড়তি সুবিধা দিবে। আবার পাওয়ার হিটার না থাকাটাও পাকিস্তানকে পিছিয়ে দিতে পারে।

৫৪ বছর বয়সী ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেন, ‘পাওয়ারপ্লে-তে আমাদের ব্যাটাররা খানিকটা ধীর, ডেথ ওভারেও তেমন পাওয়ার হিটার নেই। আবার ইনিংসের শুরুতে ভাল বোলিং করলেও মাঝের ওভারে স্পিনাররা উইকেট তুলতে পারছে না। অন্যদিকে মিডল ওভারে ভারত খুবই শক্তিশালী। বিরাট, রোহিতরা বড় ইনিংস খেলতে পারে; তাঁদের স্ট্রাইক রেটও আমাদের ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বেশি।’

অবশ্য ক্রিকেটে পূর্বালোচনার খুব বেশি মূল্য নেই; মাঠের খেলায় ভাল করলেই জেতা যায় আবার মুহুর্তের ভুলে বদলে যেতে পারে ফলাফল। তাই এশিয়া কাপ কে জিতবে কিংবা ইন্দো-পাক লড়াইয়ে কে হাসবে শেষ হাসি সেসব জানার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে ক্রিকেটপ্রেমীদের।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...