দেশের মাটিতে বাংলাদেশের পারফরমেন্স যে রকম আশা জাগানিয়া; বিদেশের মাটিতে ঠিক তার উল্টো। সেটা আরো স্পষ্ঠ হয়ে ওঠে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান দেখলে। এখনো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। অবশ্য, বাংলাদেশ তো বটেই যেকোনো দলের জন্য নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি জায়গা।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ। আজ দেশ ছাড়ার আগে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার জানিয়েছেন এবার ভালো করতে সবাই আশাবাদী; বাংলাদেশ অনন্ত এবার একটি হলেও ম্যাচ জিততে চায়।
তামিম ইকবাল বলেন, ‘দেখুন, আমরা সবাই জানি যে নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন আমাদের জন্য কঠিন। কিন্তু অসম্ভব কিছুই না। আমরা চেষ্টা করব যে জিনিসটা নিউজিল্যান্ডে কোনোদিন অর্জন করিনি, এবার সেটা অর্জন করতে পারি। আমরা আশাবাদী।
নিউজিল্যান্ডে গিয়ে এর আগে নয় টেস্ট, ১৩ ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি খেলে সব গুলো ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার এবার এই পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙ্গতে চান। সৌম্য সরকার জানিয়েছেন এবার ভালো করতে মানসিক ভাবে প্রস্তুত রয়েছে সবাই।
সৌম্য বলেন, ‘অবশ্যই ভালো কিছু হবে। সবাই যেভাবে মানসিক ও ক্রিকেটীয় প্রস্তুতি নিয়েছে, আশা করি সবাই ভালোই করবে। অবশ্যই, এবার যেন আমরা সেটা ভাঙ্গতে পারি, জিতে ফিরতে পারি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডেতে সবাই ভালো করেছে। সেখানেও আমাদের ওয়ানডে সিরিজ আছে। আশা করি ভালো করবে।’
দলের সফর সঙ্গী হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। এই বোর্ড পরিচালক মনে করেন সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। তিনি জানিয়েছেন যে ভাবেই হোক অন্তত লড়াই করতেই হবে।
বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের জালাল ইউনুস বলেন, ‘কঠিন সফর। খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা সিরিজ। এটাতে কোনো বিতর্ক নেই। ছেলেদের দেখে মনে হয়েছে ওরা প্রস্তুত। আমাদের যেমন করেই হোক, লড়াই করে আসতে হবে। আমাদের সিরিজটা ভালো খেলতেই হবে।’
নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর কুইন্সটাউনে পাঁচ দিনের ট্রেনিং ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ। ২০ মার্চ ডুনেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ২৩ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে হ্যাগলি ওভাল, ক্রাইস্টচার্চে এবং ২৬ মার্চ শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে বেসিন রিজার্ভ,ওয়েলিংটনে।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে ২৮ মার্চ সেডন পার্ক, হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ৩০ মার্চ ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে ইডেন পার্ক, অকল্যান্ডে ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে শেষ টি-টোয়েন্টি।